শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রেহাই পেল গ্যাস পাইপলাইন

রুশ-মার্কিন সংলাপের জের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২১, ৭:৪৭ পিএম

মতপার্থক্য ও তর্জনগর্জন সত্তে¡ও কূটনৈতিক পথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা যতটা সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করা উচিত বলে মনে করে রাশিয়া ও অ্যামেরিকা। জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবার পর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম বৈঠকে এমন বাস্তববাদী মনোভাব দেখা গেল। আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিক শহরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, যাবতীয় মতপার্থক্য সত্তে¡ও দুই দেশ কিছু ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। লাভরভ মনে করেন, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে পৃথিবী আরো নিরাপদ হয়ে উঠবে।

আর্কটিক কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে এসে দুই নেতাই মুখোমুখি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন। কোনো বড় সাফল্য না এলেও শুভ সূচনা হয়েছে বলে এক মার্কিন কূটনীতিক মন্তব্য করেন। ব্লিংকেন বলেন, বাইডেন রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যাশিত ও স্থায়ী সম্পর্ক চান। করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি, আফগানিস্তানে সংঘাতের মতো বিষয়ে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

রুশ-মার্কিন সংঘাতের একটি বিষয়ে সুর কিছুটা নরম করেছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়া থেকে জার্মানিতে সরাসরি গ্যাস সরবরাহ করতে পাইপলাইন তৈরির কাজে আর তেমন বাধা দিচ্ছে না ওয়াশিংটন। বাইডেন-লাভরভ বৈঠকের মাঝেই অ্যামেরিকা কয়েকটি জাহাজ ও কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করলেও ‘নর্ড স্ট্রিম ২’ প্রকল্পের পেছনে মূল কোম্পানি ও কোম্পানির প্রধানকে রেহাই দিয়েছে। ফলে প্রায় ১১০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ আপাতত উজ্জ্বল থাকছে।

এই মনোভাবের কারণ ব্যাখ্যা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, অ্যামেরিকার জাতীয় স্বার্থে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি ও কোম্পানির পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ কার্যকর করা উচিত হবে না। কারণ, সে ক্ষেত্রে জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাইডেন অবশ্য বুধবারও এই পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিরোধিতায় অটল ছিলেন।

এমন সিদ্ধান্তের ফলে জার্মানি তথা ইউরোপের অনেক দেশ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। জার্মানি বরাবর এই প্রকল্পটিকে শুধু বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে। মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস সেটিকে ‘গঠনমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। গত কয়েক মাসে ওয়াশিংটন ও বার্লিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতার বাইরে এ বিষয়ে সংলাপ চলছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাইডেন প্রশাসনের এই ছাড় সত্তে¡ও বিতর্কিত এই প্রকল্পের পথে সব কাঁটা দূর হচ্ছে না। প্রেসিডেন্সিয়াল ওয়েভার সত্তে¡ও অনেক সংসদ সদস্য গোটা প্রকল্পের বিরোধিতা করে চলেছেন। মূল কোম্পানি রেহাই পেলেও প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যরা নিষেধাজ্ঞার মুখে কাজ শেষ করতে পারবে কিনা, সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে। রয়টার্স, ডিপিএ, এপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন