রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চৌদ্দগ্রামে অরক্ষিত গ্যাস পাইপলাইন বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) থেকে
বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের জন্য অপরিকল্পিতভাবে সড়কের পাশ থেকে মাটি কাটার কারণে জাতীয় গ্যাস লাইনটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে লাইনটি অরক্ষিত থাকায় যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের নাশকতা বা দুর্ঘটনা। গত ২ জুলাই প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হলেও জাতীয় এই সম্পদ রক্ষায় কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চার লেন প্রকল্পের কাজের জন্য মাটি কাটার যন্ত্র ভেকুদিয়ে অপরিকল্পিতভাবে সড়ক সংলগ্ন স্থান থেকে গভীরভাবে মাটি কাটা হয়। এতে মাটির নিচ দিয়ে স্থাপিত জাতীয় হাই প্রেসার গ্যাস লাইনটি উন্মুক্ত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিতভাবে পড়ে আছে জাতীয় এই গ্যাস লাইনটি। এসব স্থান থেকে ২০১২ সালে মাটি কাটা হলেও দীর্ঘ ৪ বছরেও গ্যাস পাইপটি সংরক্ষণে কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের পদুয়া রাস্তার মাথা সংলগ্ন দামার পাড়ায় প্রায় ৫০ মিটার গ্যাস পাইপ অরক্ষিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও মহাসড়কের ফাঁসি বটগাছ, ফকির বাজার, সুজাতপুর, আমজাদের বাজার, সাতচর, গাংরা, ভাজনকরা, দত্তসার ও ফেনী সীমান্তের মোহাম্মদ আলী এলাকায় অরক্ষিত অবস্থায় জাতীয় এই গ্যাস লাইনটি দেখা যাচ্ছে। এসব এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি স্থানে স্থানীয়রা বাঁশের খুঁটি ও মাটির বস্তা দিয়ে আটকিয়ে রাখতেও দেখা গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম ফারুক হেলাল বলেন, গোপনীয় বিষয়টি জনসম্মুখে দৃশ্যমান হওয়ার কারণে জাতীয় এই সম্পদে যে কেউ বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে। নাশকতা ঠেকাতে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করে গ্যাস সম্পদ রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণতার কথা স্বীকার করে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ইঞ্জিনিয়ার আকবর কবির বলেন, এ বিষয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ অফিসে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে বর্ষার কারণে বিলম্ব হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। ফোর লেন প্রকল্প-৩ ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার সন্তোস কুমার রায় জানান, যেসব স্থানে গ্যাস লাইন দেখা যাচ্ছে ২০১২ সালে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওইসব এলাকায় সংস্করণের জন্য অর্থ দেয়া হয়েছে। জাতীয় এ সম্পদ রক্ষায় বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন