শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কমেছে চাল ও মুরগির দাম

বেড়েছে পেঁয়াজ ও তেলের দাম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীর বাজারগুলোতে অবশেষে কমতে শুরু করেছে চাল ও মুরগির দাম। বাজারে বোরো ধানের চাল আসায় মূলত সব ধরনের চালের দামই কমতে শুরু করে। অন্যদিকে ঈদের আগে চাহিদা বেশি থাকায় বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে। এছাড়া অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম। তবে পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের দাম আবারো কিছুটা বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সূত্রে এরকম তথ্য মেলে।

মাসখানেক আগে মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৮ টাকার আশপাশে বিক্রি হতো। এখন নতুন মৌসুমের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকার আশপাশে। কমেছে মাঝারি ও সরু চালের দামও। বোরো মৌসুমের চাল বাজারে আসা শুরু হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের এই প্রধান খাদ্যের দাম অনেক চড়া ছিল। বাজারে একপর্যায়ে মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মাঝারি চাল ৫৪ থেকে ৫৫ এবং সরু চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে শুরু করে। এটা ছিল ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ দাম।

খুচরা বিক্রেতারা নতুন মৌসুমের মোটা চাল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা, বিআর আটাশ চাল ৪৮ থেকে ৫০ এবং মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি করছেন। অন্যদিকে আমনে উৎপাদিত নাজিরশাইল চাল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় উঠেছিল। এখন তা ১৪০ টাকার নিচে নেমেছে। সোনালিকা মুরগি উঠেছিল প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, যা এখন ২৫০ টাকায় বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, বাজারে আগের মতো ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ঝিঙে আগের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এক কেজি কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদের পরে সাধারণত সবজির দাম বাড়ে। তবে এবার সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। সবজির দাম অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কিছুদিন পর সবজির দাম বাড়তে পারে। অপরদিকে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজে পাঁচ টাকার মতো বাড়তি চাইছেন বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, পাইকারি বাজারেই দাম বেশি। শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৪ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়, যা কয়েক দিন আগের তুলনায় কেজিতে দুই টাকার মতো বেশি। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের আড়তদারেরা এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজ ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন, অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৪০ টাকা।
ঈদের পর আবারো কিছুটা বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। বাজারভেদে খোলা ভোজ্যতেলের দাম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হত তবে এ সপ্তাহে কিছুটা বেড়ে লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৩৯ টাকায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন