দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৬ জনের মৃৃৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে- ১২ হাজার ৩১০ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫০৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন। মৃত ২৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন ও ৭ জন নারী। গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫২৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ২৯ হাজার ১৩৯ জন। সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮২টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৯টি, জিন এক্সপার্ট ৩৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩১৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৩৯৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ২৯৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ লাখ ৯৩ হাজার ১৭৭টি। এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ১০ জন। এছাড়া সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন করে ৩ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে রয়েছেন ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৩৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৬২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ১৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ৫০১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৬৫৯ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মৃত্যু ১২ হাজার ৩১০ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৯০৩ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪০৭ জন নারী।
এখন দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর থেকে জীবনঘাতী ভাইরাসটির তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে লকডাউন চলছে এবং সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন