নেছারাবাদ উপজেলার আতা গ্রামে অর্পিতা মজুমদার(১৭) নামে সেই গৃহবধুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শশুরসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার নিহত গৃহবধু অর্পিতা মজুমদারের পিতা লিটন মজুমদার বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ আসামী অর্পিতার শশুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ রায় ও চাচা শশুর অনুপ রায়কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। নিহত গৃহবধূর স্বামী সবুজ ও অন্য আসামী অত্মগোপন করেছে।
অর্পিতার স্বামী সবুজ রায় বাংলাদেশ উন্নয়ন ভাবনা নামে একটি এনজির আড়ালে ঋনদান কার্যের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
অর্পিতার বাবা লিটন মজুমদারের অভিযোগ মেয়েকে চিরতরে সরিয়ে ফেলার জন্য বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে শশুরবাড়ীর দাবী পুত্রবধূ নিজে ইচ্ছে করে বিষপানে মরেছে।
স্থানীয় প্রতিবেশি সূত্রে জানাযায়, ২৪ ফেব্রুয়ারী আতা গ্রামের শৈলেন রায়ের ছেলে শৈশব রায় ওরফে সবুজ রায়ের সাথে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেতলোজ গ্রামের লিটন মজুমদার মেয়ে অর্পিতার মজুমদার (১৭) এর বিয়ে হয়। সবুজ রায় নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করার কারনে তার বাবা মা পুত্র বধুকে সহ্য করতে পারতেন না। সে কারনে শশুর.শাশুরী অর্পিতাকে প্রতিদিন নানা অজুহাতে মারধর করত। এমনকি তাকে নিয়মিত খাবার না দিয়ে এক ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখত। তারপরও অর্পিতা নিরবে শশুর বাড়ীর জ্বালাতন সহ্য করে যেত।
নেছারাবাদ উপজেলায় শাশুরির নির্যাতন সইতে না পেরে বিষপানে গৃহবধূ অর্পিতার মৃত্যু হয়।গত শুক্রবার (২১ মে) ভোর রাতে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসা অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট ইনকিলাবে প্রকাশিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন