শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সিলেটের চা বাগান

মজুরি বঞ্চিত শ্রমিকরা

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

মজুরী বঞ্চনায় আন্দোলনে নেমেছে সিলেটে তারাপুর চা বাগান শ্রমিকরা। প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে মজুরী না পাওয়ায় চা পাতা উত্তোলন বন্ধ রেখেছে তারা। আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি দিয়েও শ্রমিকদের পাওনা টাকা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে বাগান পরিচালনা কমিটি। সেকারণে পুরোদমে কাজে যোগদান করছে না চা শ্রমিকরা।
গতকাল শনিবার পর্যন্ত শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে পারেনি বাগান পরিচালনা কমিটি। এজন্য গতকাল সকালে বাগানে বিক্ষোভ করেন তারা। এদিকে চলমান করোনাকালীন লকডাউনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাগানের প্রত্যেক শ্রমিককে ১ হাজার টাকা প্রণোদনা দেয়া হলেও বাগান থেকে কোন সহযোগিতা দেয়া হয়নি শ্রমিকদের। সার্বিক এক চাপা অসন্তোষে পুড়ছে তারাপুর বাগানের চা শ্রমিকরা। যদিও বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কৃষি ব্যাংক তাদেরকে ঈদের পরে লোন দেয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ করে লোন প্রদানে অনীহা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। এতে করে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে বাগানটি। এছাড়া সম্প্রতি বাগানের চা পাতা উত্তোলন করে নিলামে বিক্রি করা হয় চট্টগ্রামের নিলাম কেন্দ্রে। বিক্রিত এ চায়ের বাজার মূল্য হয় প্রায় ৮ লাখ টাকা। সেই টাকাও কৃষি ব্যাংকের গাফিলতির কারণে পাচ্ছে না বাগান কর্তৃপক্ষ। বাগান পরিচালনা কমিটির সম্পাদক শান্তনু দত্ত শন্তু জানান, গত বুধবার বাগানে শ্রমিকরা কাজ করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে মজুরী না পাওয়ায় কাজে যোগ দিচ্ছে না শ্রমিকরা। এরফলে বাগান থেকে চা পাতা তোলা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে, লোন দেয়ায় কথা ছিলো কৃষি ব্যাংকের। কিন্তু ব্যাংক লোন না পাওয়ায় আর্থিক বিপাকে পড়েছে বাগানটি। এর মধ্যে বাগান পরিচালনা কমিটি গত কয়েক মাসে বাগান পরিচালনা করতে গিয়ে প্রায় ২৯-৩০ লাখ টাকা দেনা গুনছে।
এদিকে, তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপন অপু চক্রবর্তী জানান, বাগানে নতুন চা পাতা তোলা সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ প্রায় ২ সপ্তাহ থেকে মজুরী পাচ্ছে না শ্রমিকরা। বাগানে বিভিন্ন ধাপে কাজ করেন প্রায় ১৪১ জন শ্রমিক। তিনি বলেন, এ অবস্থার জন্য দায়ী কৃষি ব্যাংক। ঈদের পরে লোন দিবে বলে আশ্বস্ত করলেও তারা এখন লোন দিচ্ছে না।
এছাড়া শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ করার জন্য বাগান থেকে কিছু চা নিলামের জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছিল। সেই চা পাতা নিলামে বিক্রি হয় প্রায় ৮লাখ টাকায়। সেই টাকাও কৃষি ব্যাংকের গাফিলতির কারণে হাতে আসছে না। সার্বিক পরিস্থিতি এখন নাজুক। তিনি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, টাকা পরিশোধ না করায় কাজ বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। সেই সাথে বাগান পরিচালনা কমিটির কাছেও এই মূহুর্তে কোন টাকা নেই। জানুয়ারি মাসে পরিচালনা কমিটি প্রায় ৩০ লাখ টাকা দেনা করে চালিয়ে ছিলেন বাগানটি। সেই টাকাও সম্ভব হয়নি পরিশোধ করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন