নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে দ্বিন ইসলাম ও সমর আলী হত্যার মামলার আসামিরা ফের প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আলাউদ্দিন পক্ষের মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে জজ মিয়া ও আলেকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রায় ২০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। এসময় ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আলাউদ্দিন পক্ষের মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গতকাল সকালে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় আলাউদ্দিন পক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায় সাদেক পক্ষের লোকজন। হামলায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় ফেরদৌস, রফিক আলী, দেলোয়ার, ফরিদ আহম্মেদ, খাদিজা, রাজিয়া বেগম, রাবেয়া বেগম, কামরুন নাহার মুক্তাসহ ১০ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আলাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার আত্মীয় সমর আলী ও ভাতিজা দ্বীন ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। গতকাল সকালে আমাদের লোকজনের বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর করে। এতে ১০ জন আহত হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, নয়াগাঁও গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন