দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা গাড়ি চুরি ও ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা যাত্রী বেশে গাড়িতে উঠে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে সুকৌশলে চালককে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অথবা জোরপূর্বক গাড়ি ছিনিয়ে নিত। কখনো আবার পার্কিং করা গাড়ি মাস্টার কি (চাবি) দিয়ে খুলে চুরি করত। প্রাইভেটকার চুরির পরে এগুলো আবার মোটরসাইকেল ও সিএনজি চুরির জন্য ব্যবহার করত তারা। গতকাল ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের এসি মধুসূধন দাস এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঢাকা, গাজীপুর, যশোর, নরসিংদী ও গোপালগঞ্জ জেলায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে মো. রফিকুল ইসলাম, মো. বাহাদুর ইসলাম, মো. মশিউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. তরিকুল ইসলাম ও তাফসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই ২টি প্রাইভেটকার, ৮টি মোটরসাইকেল ও ৪টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, কোতয়ালী থানা ও ধানমন্ডি থানায় চুরির মামলা তদন্তকালে এই চোর ও ছিনতাই চক্রের সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ও বাহাদুরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যমতে কেরাণীগঞ্জ থেকে একটি চোরাই প্রোবক্স প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল এবং গাজীপুর জেলা থেকে একটি প্রোবক্স প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। চলমান অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে যশোর জেলা থেকে এ চক্রের সদস্য মশিউর, শহিদুল ও তরিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারদের চোরাই মালামালের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মালামালগুলো গোপালগঞ্জ জেলায় আছে বলে স্বীকার করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে তাফসিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ৭টি মোটরসাইকেল ও নরসিংদী জেলা থেকে ৪টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃতরা যাত্রী বেশে গাড়িতে উঠে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে সুকৌশলে চালককে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অথবা জোরপূর্বক গাড়ি ছিনিয়ে নিত। কখনো আবার পার্কিং করা গাড়ি মাস্টার কি (চাবি) দিয়ে খুলে চুরি করত। প্রাইভেটকার চুরির পরে এগুলো আবার মোটরসাইকেল ও সিএনজি চুরির জন্য ব্যবহার করত। মোটরসাইকেল চুরি করার পর তারা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠিয়ে দিত। এ কারণে মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন