বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কঙ্গোয় অগ্ন্যুৎপাত : লাভার স্রোতে শতশত বাড়ি ধ্বংস, মৃত্যু ১৫

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২১, ২:৩১ পিএম

আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় দেশ গণপ্রজাতন্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে পাঁচ শতাধিক বসতঘর। এখনও ১৭০ শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সোমবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
শনিবার স্থানীয় সময় রাতে হঠাৎ করেই মাউন্ট নিরাগঙ্গের এই অগ্ন্যুৎপাতের পর ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ। এ সময় লাভার স্রোত থেকে বাঁচতে গোমা শহর থেকে পাঁচ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী দেশ রুয়ান্ডায়। অনেকে আশ্রয় নিয়েছিলেন গোমা শহরের পশ্চিম দিকের উঁচু এলাকায়। সেখানকার স্কুল ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, কঙ্গো থেকে তাদের সব বিমান পাশের দেশ উগান্ডায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গোমার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। অগ্ন্যুৎপাতের খবর পেয়ে ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফ্লেক্স তিশিসেকেদি।
দেশটির সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া এক বিবৃতিতে ১৫ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। এদের মধ্যে নয়জন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন, চারজন গোমার মুনজেনজে কারগার থেকে পালানোর চেষ্টাকালে ও আরও দুইজন লাভার আগুনে পুড়ে মারা যান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার পর গোমার উত্তরে একটি গ্রামে দুই জন নিহত হয়েছে বলে দেখেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর কথা ও নিখোঁজ স্বজনদের কথা বলেছে। এসব বিবেচনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০০২ সালে এই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে আড়াইশো লোকের মৃত্যু ও এক লাখ ২০ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছিল। ওই স্মৃতিতে তাড়িত হয়ে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে যা কিছু নেওয়া সম্ভব নিয়ে হেঁটে এলাকা ছেড়ে গেছেন।
রেডক্রস জানিয়েছে, শনিবার তিন থেকে পাঁচ হাজার লোক রুয়ান্ডায় পালিয়ে গেছে। তাদের অনেকেই কৃষক, তারা গবাদিপশু সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। সূত্র : রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন