যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দুই গ্রুপের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চরমে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধাচারণ করে বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন। যা দৃশ্যমান। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তোফায়েল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে কর্মচারি পরিষদসহ নেতৃবৃন্দ নানা অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করে দাবি জানান, দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসি হিসেবে সদ্যবিদায়ী প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব যেন না দেয়া হয়।
গতকাল সোমবার প্রেসক্লাব যশোরের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারি পরিষদ ও ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সর্বস্তরের সদস্যরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, দ্বিতীয় মেয়াদে ড. আনোয়ার হোসেন ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পেলে বিশ্ববিদ্যালয়টি পুরাপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে কোনভাবেই প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনকে ভিসির দায়িত্ব দেয়া যাবে না। গত চার বছরে তিনি সীমাহীন দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, চরম স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মতান্ত্রিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ধ্বংস হওয়ার পথে নামিয়ে দিয়েছেন। তার মত একজন দুর্নীতিবাজ প্রফেসরকে শুধুমাত্র যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায় নয় কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই দায়িত্ব দেয়া ঠিক হবে না। এই পকক্ষ ৩দিন আগে ভিসির বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে।
এদিকে, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দল নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ ও ডা. মোঃ ফিরোজ কবির এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভুলে ভরা, মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (যবিপ্রবি) জাতির সামনে হেয় করা হচ্ছে। যবিপ্রবির কতিপয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কর্মকান্ডে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার স্তম্ভিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমাজে যে সম্মান রয়েছে, সেটাকে তুচ্ছ করে অত্যন্ত নিম্ন ও অনাকাঙ্খিত পদ্ধতিতে তারা প্রতিবাদ করছেন, যেটা কোনো বিবেকবান মানুষ নিতে পারে না।
যবিপ্রবি নীল দল মনে করে, সদ্য বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার বিদায়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এবং মানববন্ধনে যে ভাষা ও অভিযোগ করা হয়েছে, তা পুরো শিক্ষক জাতির জন্য অপমান।
বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যশোরের গৌরব যবিপ্রবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পক্ষ বিপক্ষ টানাহেচড়া হয়ে আসছে। এখানে দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা চরমে পৌঁছেছে। এর আগে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননার মামলা হয়। মামলাটি করেন তৎকালীন ছাত্রনেতা ও বর্তমানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন বন্টনে মারাত্মক অনিয়ম অব্যবস্থা ও স্বেচ্ছাচারিতা করার অভিযোগ ওঠে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন