বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে সিদ্ধান্ত অক্টোবরের মধ্যেই এপিআই শিল্পপার্কে প্লট বরাদ্দ -শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি অক্টোবরের মধ্যেই এপিআই শিল্পপার্কে প্লট বরাদ্দ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, প্লট বরাদ্দ প্রদানের পরপরই শিল্প নগরিতে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনের কারখানা স্থাপন শুরু হবে। এর ফলে ওষুধ শিল্পের কাঁচামালখাতে আমদানি খরচ শতকরা ৭০ ভাগ কমে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিসিকের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ওষুধ শিল্পনগরি প্রকল্পের (এপিআই শিল্প পার্ক) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির প্রতিনিধিদলের সাথে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সিনিয়র শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, বিসিকের নব নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এসএম সফিউদ্দিনসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সমিতির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ওষুধ শিল্পনগরির কার্যক্রম দ্রæত চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় শিল্পনগরিতে ৪২টি শিল্প ইউনিটের অনুকূলে প্লট বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া, শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজস্ব অর্থায়নে কেন্দ্রিয় বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বৈঠকে ওষুধ শিল্প উদ্যোক্তারা বরাদ্দ প্রাপ্ত প্লটের বিপরীতে মূল্য পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি এবং সার্ভিস চার্জ কমানোর জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে শিল্পমন্ত্রী বরাদ্দকৃত প্লটের মূল্য পরিশোধের সময়সীমা পাঁচ বছরের পরিবর্তে দশ বছর এবং বিসিক নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ শতকরা ২০ ভাগ থেকে কমিয়ে শতকরা সাড়ে ১২ ভাগ নির্ধারণ করেন। এর ফলে পরিবেশবান্ধব এ শিল্পনগরির কার্যক্রম দ্রæত সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির সদস্যরা শিল্পমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ওষুধ শিল্প বাংলাদেশে একটি উদীয়মান শিল্পখাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৩৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পেটেন্টেড ওষুধ উৎপাদনের জন্য ডবিøউটিও থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ছাড় পেয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে তিনি দ্রæত এপিআই শিল্পপার্ক বাস্তবায়নের এগিয়ে আসতে উদ্যোক্তাদের সহায়তা কামনা করেন। এটি বাস্তবায়িত হলে, ওষুধ শিল্পখাতে আমদানি ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানি আয় বাড়বে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের ওষুধ শিল্পখাতে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে। এ উৎপাদন থেকে অভ্যন্তরীণ চাহিদার শতকরা ৯৭ ভাগ মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। এপিআই শিল্পপার্ক স্থাপন করা হলে, ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের দেশিয় চাহিদার শতকরা ৭০ ভাগ যোগান দেয়া সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন