সরকারি আবাসন-স্থাপনায় মশকের বিস্তার রোধে সজাগ থাকতে এবং তদারকি কার্যক্রম জোরদার করতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ (সোমবার) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্পোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ৭ম বোর্ড সভায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই আহবান জানান।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর বা সংস্থার যে সকল আবাসন, নির্মাণাধীন ভবন এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার দপ্তর রয়েছে - সেসব জায়গাগুলোতে অনেক সময় মশক বিস্তারের উপযোগী পরিবেশ বিরাজমান থাকে। যেহেতু সে সকল জায়গায় আমাদের কর্মীরা নিয়মিতভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না, তাই, সেখানে যাতে মশকের বিস্তার না ঘটে সে বিষয়ে আপনারা সজাগ থাকবেন, তদারকি করবেন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
দক্ষিণের মেয়র আরও বলেন, বিগত বছরে কর্পোরেশনের ইতিহাসে আমরা সবচেয়ে বেশি সুষ্ঠুভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। শুধু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারী কিউলেক্স মশার উপদ্রব কিছুটা বেড়েছিলো কিন্তু বাকী ১০ মাস মশক পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিলো। আবারও ডেঙ্গুর মৌসুম আসছে। সুতরাং এ ব্যাপারে বিগত বছরের মত আপনাদের নিবিড় তদারকি ও কার্যক্রম বজায় রাখতে হবে।
কর বৃদ্ধি না করেই রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে কথা দিয়েছিলাম - আমরা কোনো কর বৃদ্ধি করব না এবং আমরা কর বৃদ্ধি করিনি। কিন্তু কর বৃদ্ধি না করেই কর আদায়ের ক্ষেত্র বৃদ্ধি করে তা সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারলেই আমরা পর্যায়ক্রমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো। আমরা সে পথেই এগিয়ে চলেছি।
ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডেই একটি করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। পাঁচ তলাবিশিষ্ট নতুন আরও ৪৩টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রণয়ন করে আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। সে সকল সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের মধ্যেই আমাদের কাউন্সিলরদের কার্যালয়, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম, ব্যায়ামাগার, পাঠাগার সুবিধা থাকবে। যাতে করে ঢাকাবাসী একটি কেন্দ্র থেকেই তাদের সেবাগুলো পেতে পারেন।
সভায় মেয়র তাপস বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ মৌলিক নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে গৃহীত কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরেন। সভার শুরুতেই ৭৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলামের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন মোনাজাত করা হয়। পরে বোর্ড সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী অন্যান্য বিষয়সমূহ উপস্থাপন করা হয় এবং কাউন্সিলরবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
বোর্ডসভায় করপোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্যের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন