বাংলাদেশ জুড়েই ভারত সীমান্ত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাবেক রাজশাহী বিভাগ যা বর্তমানে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ। দুটি বিভাগের ১৬ জেলাই মূলত ভারত বেষ্টিত। রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর সেক্টরের অধিনে ১৬ জেলায় বিজিবি’র বিভিন্ন ব্যাটেলিয়ান সীমান্ত সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে সীমান্তে কাটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে।
কিন্তু তারপরও চোরাচালান বন্ধ হয়নি। কাটা তারের বেড়ার নীচ দিয়ে আবার অনেক সময় অভিনবভাবে বেড়া টপকে অনুপ্রবেশসহ চোরাকারবারীদের অবাধ যাতায়াত বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ভারতের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সীমান্ত সিলগালাসহ বৈধপথে পাসপোর্টে যাতায়াত বন্ধ করেছে। কেবল আটকে পড়াদের বিশেষ ব্যবস্থায় স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভয়াবহ করোনা’র থাবা না থামতেই দেখা দিয়ে বøাক, হোয়াইট এর পর দেখা দিয়েছে মরণঘাতী ইয়োলো ফাঙ্গাস রোগ। যার বিস্তার বাংলাদেশে ধরা পড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই অনুপ্রবেশকারী এবং মাদক পাচারকারীদের দৌরাত্ম থেমে নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সীমান্ত দিয়ে আসা হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং চোরাকারবারীদের আটকের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
জাতীয় স্বার্থে স্থল বন্দরগুলি দিয়ে আমদানী রফতানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য আমদানী’র ক্ষেত্রে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর ড্রাইভার ও হেলপারদের ক্ষেত্রে করোনা বা ফাঙ্গাস শনাক্তের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে ভারতীয় পণ্যের সাথে ড্রাইভার ও হেলপারদের মাধ্যমে করোনা বা ফাঙ্গাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। সীমান্তে জনপ্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন