রাজশাহী ব্যুরো : নগরীর নতুন বুধপাড়া এলাকায় শনিবার দিবাগত রাতে শিশু সন্তানকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এক মা। পরে ঘরের দরজা ভেঙে নিহত ছেলে শাহরিয়ার আলম কাব্য’র (৭) লাশ এবং আহত মা তসলিমা খাতুনকে (৩৫) উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরে আহত তসলিমাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত ছেলে কাব্যের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। তসলিমা আগে থেকেই মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল বলে দাবি তার পরিবারের লোকজনের।
নিহত কাব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবা রফিকুল ইসলাম নগরীর মেহেরচন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং এলাকার মোড়ে ওষুধের দোকান রয়েছে। কাব্য’র বাবা রফিকুল ইসলাম জনান, শনিবার রাত ১০টার দিকে ওষুধের দোকান থেকে বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো। স্ত্রী এবং সন্তানকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু কেউ ভেতর থেকে দরজা খুলছিল না। একপর্যায়ে রফিকুল ইসলাম এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন ঘরের একটি কোণে ছেলের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। আর তার পাশেই আহত অবস্থায় পড়ে আছে মা তসলিমা। এলাকাবাসী নগরীর মতিহার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিহত নিহত কাব্য’র লাশ উদ্ধার করে এবং আহত অবস্থায় তার মা তসলিমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এরপর রাতেই সুরতহাল করে শিশু কাব্য’র লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। মতিহার থানার ওসি বলেন, ছেলেকে হত্যার পরেই মা আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। তার শরীরেও জখমের চিহ্ন রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন