সিলেটে সুরমা মার্কেট যেন অবৈধ কাজের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। চেনা পরিবেশে এমন অচেনা নেতিবাচক রূপ দীর্ঘদিন পর এখন লোকসম্মুখে। প্রাচীন এ মার্কেট সিলেটে অনন্য এক স্থাপত্য ও সম্পদ। সেই মার্কেটের মধ্যে রয়েছে একাধিক রেস্ট হাউস। ভাগবাটোয়ার মাধ্যমে দেহ ব্যবসার নিরাপদ ঘাঁটিতে পরিণত করা হয়েছে এ মার্কেটি। ব্যস্ততম এ মার্কেটটিতে এমন অপরাধে কার্যকলাপ চললেও, কখনো সামনে আসেন না এহেন অপকর্মের হোতারা।
পুলিশী ধরপাকাড়ে কেবল ধরা খায় দেহজীবি ও খদ্দর। গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটায় সুরমা মার্কেটস্থ নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ২ নারী ও ২ পুরুষকে গ্রেফতার করেছে এসএমটি কতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এদের মধ্যে রয়েছে সিলেটের জালালাবাদ থানার জঙ্গারকান্দি এলাকার নুর ইসলামের পুত্র মো. মিলন ও জকিগঞ্জ থানার কসকনপুর বিয়াবাই এলাকার লিটন আহমদ। তবে নাম ঠিকানা জানা যায়নি গ্রেফতারকৃত দুই নারীর। এছাড়া গত রোববার দুপুুর আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এই সুরমা মার্কেটের বদরুল রেস্ট হাউস থেকে অসামাজিক কাজের অভিযোগে ২ নারীসহ মোট ৭ জনকে করেছিল। তারা হলেন, মোগলাবাজারের সুরিগাও গ্রামের শায়েখ আহম্মদ, সাকিব আহম্মেদ ও তানভীর আহমদ (১৮), সুনামগঞ্জের ভুতিয়ারাপুর গ্রামের রুবেল মিয়া এবং ওসমানীনগরের সোয়ারগাওয়ের মারুফ আহমদ। তবে আটক ২ নারীর পরিচয় জানা যায়নি। এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, নিয়মিত অভিযান চলছে, আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, এমন অপরাধের ধারা পরিবর্তন করা জরুরী। কারণ গ্রেফতারকৃত খুব সহজইে আইন মোকাবেলা করে পুনরায় এ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। গ্রেফতারের পর নৈপথ্যে প্রভাবশালীরা নিজ পকেটের টাকা খরচ করে দেহজীবিদের মুক্ত করেন। এর বিনিময়ে অদৃশ্য এক বন্ধনে জড়িয়ে নেন দেহজীবিদের। দিনের পর দিন নামমাত্র অর্থে তাদের তুলে দেন খদ্দরের হাতে। প্রভাবশালী হোটেল ব্যবসায়ীদের পুতুল হয়ে দেহজীবিরা বিকল্প পথ না পেয়ে এমন অনৈতিক অপরাধের সাথে জড়িয়ে রাখে নিজদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন