রাজশাহীর মোহনপুরের ধুরইল ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ অবস্থায় ওই শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পিয়ারপুর বাঁধের ধারে পান বরজে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মকবুল হোসেন (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় জানান, গত শুক্রবার দুপুর ১টার সময় শিশুটি বাড়ির পশ্চিম পাশে বাঁধের ধারে হাঁস দেখতে যায়। প্রতিবেশী পিয়ারপুর বাঁধের ধার গ্রামের আহসান হোসেনের ছেলে মকবুল হোসেন (৪৩) শিশুটিকে ফুসলিয়ে জনৈক ব্যক্তির পান বরজে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় পান বরজে কেউ ছিল না। বাড়িতে এসে একপর্যায়ে শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকে। বাড়ির লোকজন জিজ্ঞাসা করলে ঘটনাটি খুলে বলেন।
শিশুটির মা বলেন, থানায় অভিযোগ করতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি মকবুল হোসেনের (ছেলে শ্বশুর) আনারুল ইসলাম আমাদেরকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করতে থাকে। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য’র সহযোগিতায় শনিবার সকালে মোহনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত এলাকায় পৌঁছে আসামি মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে। ধর্ষণের শিকার শিশুকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পরই পুলিশ দ্রুত আসামিকে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন