শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভয়াবহ পথে রাজশাহী বিভাগ

করোনায় চারদিনে ৩২ মৃত্যু

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫২.৫ শতাংশে। সেই সাথে সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ছে। এমন অবস্থায় ভয়াবহ পথের দিকে এগোচ্ছে রাজশাহী বিভাগ। বাড়ছে করোনা শনাক্তের হার ও মৃত্যু সংখ্যাও। তাই রাজশাহীতে প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আরো কঠোরতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তার সঠিক বাস্তবায়ন চান বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার ২৮ মে দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ও আইসিইউতে তারা মারা যান।

এর আগে গত ২৪ মে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। আর শুক্রবার ২৮ মে পর্যন্ত এই চারদিনে করোনা ও উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। এই ৩২ জনের মৃত্যু নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরাও। জানা গেছে, সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজশাহী জেলা ও রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁপাইনবাগঞ্জ। সংক্রমণের সাথে সাথে এই দুই জেলায় মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে চারজনের করোনা পজিটিভ। বাকি ছয়জনের করোনা উপসর্গ ছিল। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

নিহতদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচজন, রাজশাহীর তিনজন, নাটোরের একজন ও কুষ্টিয়ার একজন। মৃতরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীর্ষ মোহাম্মদ, লুৎফর রহমান, লাল মোহাম্মদ, গোলেসা বিবি ও নজরুল ইসলাম। আর রাজশাহী নগরীর শরিফ হোসেন, হুমায়ুন কবির ও বাগমারার আব্দুর রহমান এবং নাটোরের মোহনপুর এলাকার আবুল কাশেম। ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ও আইসিউতে মোট ১৭৭ জন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৩ জন।

রামেক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ জানান, কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারো করোনা আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বেড়েছে। সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও। এটা পরিস্থিতি খারাপের লক্ষণ। করেনায় আক্রান্তদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। এভাবে চললে সমস্যা আরো প্রকট হতে পারে। তারা জানান, এখনো চাঁপাইনবাগঞ্জের অনেক মানুষ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গা দিয়ে রাজশাহী শহরে আসছে। এই বিষয়টির প্রতি কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাজশাহীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে নিশ্চিত করার ব্যাপারেও বিশেষজ্ঞগণ মত প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার ১০ শতাংশ বেড়ে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫২.৫ শতাংশে। শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রামেক হাসপাতালের পৃথক পিসিআর ল্যাবে জেলার ২১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। গত তিনদিনের করোনার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, মঙ্গলবার রাজশাহী জেলার করোনা শনাক্তের হার ছিল ২১.৭ শতাংশ। সেটি বুধবার দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ শতাংশে। আর বৃহস্পতিবার তা ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২.৫ শতাংশে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ২৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর ১১৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯ জন, নওগাঁর ২৬ জন, নাটোরের ৪৪ জন, জয়পুরহাটের ১৮ জন, বগুড়ার ১৭ জন, সিরাগঞ্জের সাতজন ও পাবনার ১১ জন।

নাটোর জেলা সংবাদদাতা মো. আজিজুল হক টুকু জানিয়েছেন, নাটোরে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থা বিরাজ করছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যে, নাটোর শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭১৩ জন, সুস্থ ১৪৭৩ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যে, নাটোর সদর হাসপাতালে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। আর মাত্র ৫টা বেড ফাঁকা রয়েছে। নাটোরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এখনই মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শহর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বোগজনক।

এ ব্যাপারে নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১১০ জনের করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ৫০ জনই করোনা পজেটিভ রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৮ জনই নাটোর শহর এলাকার বাসিন্দা। অর্থাৎ করোনা আক্রান্তের ৯০ ভাগ ব্যক্তিই শহর এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাবধানে ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে চলাচলের জন্য নাটোর পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে বলে জানান নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি।
এদিকে নাটোরে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেট, ছায়াবানী মোড়, নীচাবাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। লিটন কুমার সাহা জানান, শহরে করোনা সংক্রমণ বেশি হওয়ায় শহরের বিভিন্ন স্থানে স্পেশাল টিম সহ ৬টি মোবাইল টিম কাজ করছে। সম্প্রতি চাঁপাই নবাবগঞ্জ, রাজশাহীর পর নাটোরে করোনা’র সংক্রমণ বেশি হওয়ায় জেলায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৩০ মে, ২০২১, ১:১৭ এএম says : 0
পাশ্ববর্তী ভারতের ভয়ংকর পরিস্থিতি হতে শিক্ষা নেয়নি বাংলাদেশের মানুষ। শিরোনাম ভয়াবহ পথে রাজশাহী কি শিক্ষা নিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ রাজশাহী থেকে?? বলুন এভাবেই সারা বাংলাদেশ ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়া পযর্ন্ত আমাদের হুশ হবেনা???স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ভয়াবহ তামাশা হচ্ছে? লকডাউনের চরম হাস‍্যকর সিদ্ধান্ত আমরা দেখেছি! এখন শিক্ষা প্রতিষ্টান খুলতে সরকারের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। উপযুক্ত তথ‍্য উপাপ্ত নিয়ে সমালোচকদের কঠিন সমালোচনায় সরকার সবকিছু খোলা রেখেছেন শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ কেন?? সরকারের ছাত্র ছাত্রীদের জীবন বাচানোর জন্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হাত বাচানোর জন্যেইতো শিক্ষা প্রতিষ্টানদীর্ঘদিন বন্ধ। এমন মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া মন্তব্য কি? যাদের জীবন বাচানোর জন্যে সিদ্ধান্ত তাদের প্রতিক্রিয়া কি?ছাত্র ছাত্রীদের অভিবাবক তাদের মতামত কি? শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় বলেছেন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পযর্ন্ত শিক্ষা প্রতিষ্টান খুলবে না। ভয়াবহ পথে রাজশাহী এখানে কি করা উচিৎ???সব কথার আসল সত‍্য কথা কেও বলছে না। অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে কখনো যুদ্ধ করা করা যায়না যাবেনা। অনেক পরিকল্পনা কর্মসূচি পৃথিবীতে মানুষের জীবন বাচানোর জন্যে। ভাইরাস আর কতদিন থাকবেন। কখন নিযন্ত্রনে আসবেন এর নিশ্চয়তা কি?? শিক্ষা প্রতিষ্টান আর বন্ধ করে রাখার মাধ্যমে সমগ্র জাতির কি পরিমাণ খতি হচ্ছে বলা মশকিল।শ্রেষ্ঠ স্থানজাতির স্বার্থেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানের দায়িত্ব প্রাপ্তরা বসুন মহামারী ভাইরাস আক্রান্ত মৃত্যুর মধ্যে কিভাবে শিক্ষাবর্ষ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা য়ায় দায়িত্বশীল আলোচনা করুন। এখন সমালোচনা রাজনীতি করার সময় নয়। জীবন মৃত্যুর সময়। সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল মানবিকতার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার পরও অনেক গুলো সিদ্ধান্ত সমালোচকের সমালোচনা করার সুযোগ করে দিয়েছেন।ভয়াবহ রাজশাহী এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকলেবাংলাদেশের মানুষের জীবনে বাচানোর চিন্তা করুন। অদৃশ্য শক্তি বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়। একমাত্র ক্ষমা প্রার্থনা আল্লাহর দরবারে রাষ্ট্রীয়ভাবে সামাজিক ভাবে পারিবারিক ভাবে। আল্লাহ্ আপনি মহাপরাক্রমশালী জমিনজুড়ে মহামারী গজব আজাব মৃত্যু হতে আমাদের রক্ষা করুন। আমিন।
Total Reply(0)
Puja Pal ৩০ মে, ২০২১, ২:২৬ এএম says : 0
এখনও সময় আছে সকলে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি।
Total Reply(0)
Khalilur Rahman ৩০ মে, ২০২১, ২:২৬ এএম says : 0
এটা আল্লাহতায়ালার লীলাখেলা। তিনি যেন এক নিমিষেই সাড়া পৃথিবী ওলট পালট করে দিতে পারেন, মনে প্রানে তা বিশ্বাস করি। এখনও সতর্ক হই। হক হালালি পথে চলি। মানুষকে ঠকানোর চিন্তা ভাবনা বাদ দেই। নিজে সচেতন হই এবং অন্যকেও সচেতনে উৎসাহিত করি। হিংসা বিদ্বেষ ভুলে যাই। মারামারি, হানাহানি বন্ধ করি। তা হলেই হয়ত পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
Total Reply(0)
Methela Khatun ৩০ মে, ২০২১, ২:২৭ এএম says : 0
সত্যি সব সময় সব কিছু নিয়ে মজা করতে নেই আল্লাহ কাকে কখন বিপদে ফেলেন তা বোঝা বড় দায় তাই আমরা যারা সুস্থ আছি তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করবো আল্লাহ যেন করোনা ভাইরাস কে আমাদের মাঝ থেকে বিদায় করেন আমাদের সুস্থ রাখেন। আমিন
Total Reply(0)
H.M. Milan ৩০ মে, ২০২১, ২:২৭ এএম says : 0
চাপাইনবয়াবগঞ্জ,রাজশাহী এবং বর্তমানে আমের রাজধানী ধরা হয় নওগাঁ সাপাহারকে।সারা বিশ্বের সেরা আম উৎপাদন হয় এই সাপাহার এ,যা আপনি নিজ চোখে না দেখে কল্পনাও করতে পারবেন না।বর্তমানে এই এলাকার একমাত্র আয়ের উৎস হচ্ছে এই আম।তাই এই এলাকাগুলোতে পরিকল্পিত ব্যাবস্হা গ্রহণ করতে হবে যেন আম চাষিরাও বাঁচে ওপর দিকে ভাইরাসও না ছড়াতে পারে।তাছাড়া যদি কঠোর লকডাউন দেন তাহলে কৃষক না খেয়ে মারা যাবে আর কেউ আত্মহত্যা করবে,ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি হবে আর যদি একবারে ছাড় দেন তাহলে সব ভারতের মত রাস্তা ঘাটে মরে পড়ে থাকবে।
Total Reply(0)
Sojib Khondokar ৩০ মে, ২০২১, ২:২৮ এএম says : 0
আমি এখানেই আছি। এখানে করোনা ঢাকার তুলনায় ভারত থেকে বেশি আশছে। এখানে করোনা বারার কারন হলো বর্ডার দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের লোক আসা যাওয়া করছে। ভারতিয় ড্রাইভার হেলপার গাড়ি থেকে নামছে উঠছে । আশে পাশে যাচ্ছে ,খাচ্ছে দাচ্ছে সব কিছুই হচ্ছে। আবার বাংলাদেশের অসুস্থ রোগিরা ভারত থেকে দেশে আসছে বর্ডার দিয়ে। আমি গত সপ্তাহয় শিবগন্জ কানসাট , শাহবাজপুর সোনা মসজিদ গিয়ে নিজে দেখে আসছি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন