শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আন্দোলন ছাড়া প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না

আলোচনা সভায় ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কখনো পিছু ফিরে তাঁকাবেন না। আর কখনো এই কথা মনে করবেন না যে, আমরা পারবো না। আমরাই পারবো এবং অবশ্যই ইনশাল্লাহ আমরা জয়ী হবো। যে দানব আমাদের অধিকারগুলো হরণ করে নিয়েছে, লুন্ঠনের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দিয়েছে। সেই দানবকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার আমাদের প্রতিষ্ঠান করতে হবে আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।

গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলেও সরকার খালেদা জিয়াকে বাইরে যেতে দিচ্ছে না অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে এখনো অসুস্থ অবস্থায় আছেন। এই সরকার কত বড় প্রতিহিংসা পরায়ন এবং তাদের যে পায়ের নিচে মাটি নেই। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, বাইরে নিয়ে যাও। তারা(সরকার) বাইরে যেতে দিচ্ছে না। এটা হচ্ছে তাদের দূবর্লতা, তাদের রাজনীতির যে দেউলিয়াপনা এবং জনগণ থেকে যে বিচ্ছন্নতা তারই প্রমাণ। এই সরকার সম্পূর্ণভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা দুর্নীতিপরায়ন সরকারে পরিণত হয়েছে, এ সরকার জনগণের উপরে অত্যাচারি একটা সরকারে পরিণত হয়েছে, ফ্যাসিবাদী সরকারে পরিণত হয়েছে।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নানা দিক তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পরে সবাই ভেবেছিলো যে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে, বিএনপিকে আর দেখা যাবে না। কারণ আসল নেতাই চলে গেছেন। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি একজন গৃহবধূ ছিলেন তিনি পতাকাকে তুলে ধরছেন। কিসের পতাকা? স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা, গণতন্ত্রের পতাকা যেটাকে ধারণ করে এদেশের মানুষ বেঁচে আছে। দীর্ঘ ৯ বছর পতাকাকে তুলে ধরে স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন। এখন অবধি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমি তো মনে করি যে, এই দেশে জীবিত আছেন যেসমস্ত রাজনীতিবিদ তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মহিয়শী নেত্রী হচ্ছে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার অবদান আমি মনে করি কারো চেয়ে খাটো নয়।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। উনি কারাগারে বলেই গণতন্ত্র এখন কারাগারে, গণতন্ত্র বন্দি হয়ে আছে। আমাদের অসংখ্য নেতা প্রাণ হারিয়েছেন, গুম হয়ে গেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা, ৩৫ লাখের বিরুদ্ধে মামলা। তারপরে কিন্তু বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিএনপি আছে, চলছে এবং অত্যন্ত সোচ্চার হয়েই আছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা সমস্ত প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের আদর্শ, তার সেই যুদ্ধ করার যে মানসিকতা তাকে সমানে নিয়ে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে আপোষহীন মনোভাব গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য। তাকে পূঁজি করে তার নেতৃত্বে এবং ১৩ হাজার মাইল দূরে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যাকে আমরা সবাই তারণ্যে অহংকার বলি, যার নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন করছি, সংগ্রাম করছি তাকে নিয়েই আমাদের হারিয়ে যাওয়া যে গণতন্ত্র তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো। আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে পারবো এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে পারবো-এই আহবান আমি জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বর্নাঢ্য জীবন-কর্মের ওপর প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ লেখা গ্রন্থ দুইটি সকল নেতা-কর্মীকে পড়ার পরামর্শ দেন বিএনপি মহাসচিব।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের বিথীকা বিনতে হোসাইন, ইয়াসীন আলীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।###

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন