মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ, গফরগাঁও থেকে : গফরগাঁও থেকে ঢাকা ফেরার পথে ঈদমুখী যাত্রী দুর্ভোগের সীমা নেই। গফরগাঁও, ভালুকা, ত্রিশাল, হোসেনপুর ও নান্দাইলের একাংশের লোকজন গফরগাঁও হয়ে ঢাকা যাওয়ার একমাত্র নিরাপথ ও কম সময়ে ট্রেনে ঢাকা যাওয়া যায়। কিন্ত কোরবানী ঈদের পর গফরগাঁও রেলস্টেশনে প্রতিদিনই হাজার হাজার যাত্রী রাজধানী ঢাকা যাওয়ার জন্য ট্রেনে ভিড় করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। গফরগাঁও রেলস্টেশন থেকে বেসরকারী মেইল ট্রেন ও সরকারি বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে আসনকৃত সিট বরাদ্ধ খুবই সীমিত। ফলে যাত্রীরা ২/৩ ঘন্টা দাঁড়িয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে। মোঃ লিয়াকত আলী নামের একজন যাত্রী জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে গফরগাঁও থেকে ঢাকা একটি আন্তঃনগর ট্রেন দেয়া হলে যাত্রী সুবিধা হতো। ময়মনসিংহ-ঢাকা রেল লাইনের মধ্যে গফরগাঁও রেলস্টেশনে বিপুল পরিমাণে টিকেট বিক্রি হয়ে থাকে। এতে করে রেল বিভাগের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই তুলনায় গফরগাঁও রেলস্টেশনে যাত্রীসেবা পাচ্ছে না। স্টেশনে কোন ফ্যান না থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। সড়কের অবস্থায় খারাপ থাকার ফলে ঢাকা যাওয়ার বাস সার্ভিস চালু হয়নি। বিশেষ করে সড়ক ও জনপথের রাস্তা গফরগাঁও-থেকে ভালুকা ২১কি. মি. সড়কের অবস্থায় খবুই করুণ। এ সড়ক দিয়ে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেনে ঢাকা যাওয়া একমাত্র নিরাপথ পথ। এ দিকে ঢাকা-থেকে গফরগাঁও ও গফরগাঁও থেকে ময়মনসিংহ আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ ট্রেনের আসন বরাদ্ধ না থাকায় দাঁড়িয়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
১২৮ বছরের প্রাচীন গফরগাঁও স্টেশন ও রেলপথের আধুনিকায়নের দাবি রয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল থেকে ডাবল লাইন করার দাবি ছাড়াও অবিলম্বে গফরগাঁও আন্তঃনগর ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি অন্যতম। ট্রেন যাত্রী আইরিন সুলতানা সোমা বলেন, জনস্বার্থে আন্তঃনগর ট্রেনের আসন বাড়াতে রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রতিদিন শত শত স্ট্যান্ডিং যাত্রীর দাবি একটাই- টিকেট ও আসন সংখ্যার সমাধান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন