কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী পাঁচথুবী ও আমড়াতলী ইউনিয়ন দুইটি ভারত সীমান্ত ঘেষা হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের একটি বড় অংশ এখানে তৎপর রয়েছে। এরপরও গত ৫ মাসে দুই ইউনিয়নে মাদকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং ৪৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ছত্রখিল ফাঁড়ির পুলিশ। মাদকের বিরুদ্ধে ছত্রখিল ফাঁড়ি পুলিশের জিরো টলারেন্স ভ‚মিকায় দুই ইউনিয়নবাসী স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলছেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদের দিকনির্দেশনায় কেবল মাদক উদ্ধার ও গ্রেফতার অভিযানেই সীমাবদ্ধ না থেকে ফাঁড়ির বর্তমান ইনচার্জ ও সঙ্গীয় ফোর্স এলাকায় মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করায় এর সুফলও মিলছে দুই ইউনিয়নে। ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই শেখ মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযানে গত জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বিপুল পরিমান গাঁজা, ইয়াবা, ফেন্সিডিল ছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং ৪৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এসব অভিযানে সীমান্তবর্তী পাঁচথুবী ও আমড়াতলী ইউনিয়নের আলোচিত মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে- মাঝিগাছার মো. আলো রহমান ওরফে আলো মিয়া, কোটিশ্বর গ্রামের মো. জুয়েল, শাওয়ালপুর গ্রামের সফিক মেম্বার এবং জামবাড়ির সামিউল বাশার। এছাড়াও ভারত-কুমিল্লায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী গাবতলি গ্রামের এমদাদুল হক ওরফে আমজাদ, বসন্তপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দেলু, মতি নগরের আকতার, ডাকাত সেলিম, বাশমঙ্গল গ্রামের আবদুল কাদের চঞ্চলকে গ্রেফতার করা হয়।
পাঁচথুবী ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল বলেন, ছত্রখিল ফাঁড়ির পুলিশের মাদকবিরোধী ইতিবাচক ভ‚মিকার কারণে এখানে চলতি বছরের শুরু থেকে ফাঁড়ির বর্তমান ইনচার্জ শেখ মফিজুর রহমানের নেতত্বে ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে এলাকার সচেতন লোকদের ঐক্যবদ্ধ মাদক বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। আগের তুলনায় মাদক বেচাবিক্রি, সেবন অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মাদকবিরোধী কর্মকান্ডে কেবল পুলিশ নয়, সচেতন সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন