সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় দুই পরিবারের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুজন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে ফের হামলা করা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা বাদাঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৯ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়লে উভয় পরিবারে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে থাকা কয়েকশ লোক বুধবার রাতেই বাজার ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। তিনি আরও বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে দোকানপাট খুললে পুলিশ নিরাপত্তা দেবেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে উপজেলার পৈলনপুর গ্রামের নানু মিয়ার কিশোর ছেলে মোরসালিকে সোহালা গ্রামের হাজি আব্দুর নুরের ছেলে আল আমিন ও চাচাত ভাই শান্ত গত বুধবার রাতে বাদাঘাট বাজারে মরাধরে জখম করেন। এর পর মোরসালিনের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে সোহালা গ্রামের শান্তর বাবা আব্দুল হেকিমের ওপর হামলা করে তাকেও জখম করে। এ ঘটনার রেশ ধরে উভয় পরিবারের কয়েকশ লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাজারে ফের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওই রাতে বাজারের প্রায় হাজারখানেক দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট দ্রুত বন্ধ করে দেন। জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট।
আহতদের মধ্যে উপজেলার সোহেলা গ্রামের প্রয়াত হাজি জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হেকিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বুধবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও উপজেলার পৈলনপুর গ্রামের নানু মিয়ার কিশোর ছেলে মোরসালিনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন