শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সীমান্তজুড়ে বাড়ছে শঙ্কা

চৌদ্দগ্রামে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট

মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

কুমিল্লায় জেলা জুড়ে ১০৬ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। তার মধ্যে ৪২ কিলোমিটার রয়েছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। ৪৪ কিলোমিটারের ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কও রয়েছে এই উপজেলায়। জেলার একটি বিশাল এলাকার কারণে উপজেলার মানুষের মধ্যে একটা শঙ্কা রয়েছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার।

উপজেলার পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের বৈদ্দেখিল এলাকায় রয়েছে ভারতীয় উত্তরপালবাড়ী ও সেনেরখিলা এলাকার পাশে ভারতীয় দক্ষিণ পালবাড়ী গ্রাম। এই দুই এলাকা দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের আগে বাংলাদেশে অবাদে যাতায়াত থাকলেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় সিমান্ত বন্ধ থাকলেও মাদক পাচার বন্ধ নেই।

৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম শাহিন বলেন, সীমান্ত বন্ধ থাকায় ভারতের মানুষ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ না করলেও বেশ কিছু মানুষ ভারতে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যাচ্ছে। ছোট ছোট ছেলেরা কাজু বাদামের জন্য ভারতে যাচ্ছে। এছাড়াও দুই দেশের চোরাকারবারীরা অবাদে অনুপ্রবেশের কারণে চৌদ্দগ্রামে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের পাশে রয়েছে বিশাল সিমান্ত এলাকা সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান জানান, আবাদে দু দেশের চোরাকারবারিদের কারনে আমাদের দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই জন্য বিজিবিকে আরো সর্তক হতে হবে। অবৈধভাবে আসা-যাওয়া করা মানুষদের মাধ্যমেও চৌদ্দগ্রামেও ছড়াতে পারে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। তাই এই উপজেলার মানুষ শঙ্কিত প্রাণঘাতী ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে।

এদিকে, কুমিল্লা জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে প্রশাসন কুমিল্লার আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়ার মতো চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়ও ভারতীয় সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। অবৈধ আসা-যাওয়া ঠেকাতে এসব এলাকায় বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. আবু সাঈদ বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নির্দেশনায় কঠোর নজরদারির মাধ্যমে ভারত থেকে দেশে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা কুমিল্লা, ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেয়াখালীসহ পাশ্ববর্তী জেলার বাসিন্দা।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি। কুমিল্লায় কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারত ফেরতদের নমুনা সংগ্রহ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে এ পর্যন্ত যত জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের করোনা নেগিটিভ এসেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক রয়েছি। এরপরও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অনেক জেলায় যেহেতু করোনায় আক্রান্তের হার বেড়েছে, সেহেতু কুমিল্লা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যায়। কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দরের কাস্টমস ও শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম সালাউদ্দিন জানান, বিবিরবাজার স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি চালু থাকলেও গত প্রায় ১৪ মাস ধরে এ বন্দর দিয়ে মানুষের আসা-যাওয়া বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত বিপজ্জনক। এজন্য বিষয়টি নিয়ে সতর্ক রয়েছেন বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। কুমিল্লায় এর সংক্রমণ ঠেকাতে জেলাজুড়ে সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে। আমরা সকল বিষয়ে সতর্ক রয়েছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন