শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের আলোচনায় বক্তারা ব্যক্তিগত গাড়ি ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা না থাকায় যানজট বাড়ছে

প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ব্যক্তিগত গাড়ি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় এবং পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা না থাকায় নগরীতে যানজট বাড়ছে। যে কারণে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি পায়ে হাঁটার সুস্থ পরিবেশ থাকছে না। এ অবস্থায় যানজটমুক্ত সুস্থ নগরী গড়তে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ৪৪টি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উদযাপন কমিটি বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসকে সামনে রেখে আয়োজিত ‘যানজট ও দূষণমুক্ত নগরায়নে প্রয়োজন, গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা একথা বলেন।
আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসের মজুমদার।
আলোচনায় অংশ নেন বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুসলেহ উদ্দিন হাসান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সহ-সম্পাদক আদিল মুহাম্মদ খান, উপ-সচিব আনিসুর রহমান, ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, উদযাপন কমিটির আহŸায়ক একেএম মাইন উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের মাহবুব রব্বানী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইফুল হক, ডিটিসিএ’র এনফোর্সমেন্ট অফিসার এসপি মোহাম্মদ জাকারিয়া, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, ঘুড়ি ফেডারেশনের শাহজাহান মৃধা বেনু, বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, উন্নয়নকর্মী দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য, হাফিজুর রহমান ময়না প্রমুখ।
ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের প্রগ্রাম ম্যানেজার মারুফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর-ই-আলম। ওই প্রবন্ধে বলা হয়, ঢাকা শহরে প্রাইভেট কারে পাঁচ শতাংশ ট্রিপ হয় এবং এজন্য সড়কের সত্তর ভাগ জায়গা দখল করে রাখে। অপরদিকে বাস, রেল, নৌপথ, হাঁটা ও রিকশা এ সকল মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ চলাচল হলেও এ মাধ্যমগুলির জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি। তাই অনেকেই বাধ্য হয়েই প্রাইভেট কার কিনছেন। হাঁটা, সাইকেল, রিকশার সঙ্গে সমন্বয় করে উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে প্রাইভেট কারের উপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব।
বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী প্রফেসর মুসলেহ উদ্দিন হাসান বলেন, মানুষকে অযান্ত্রিক যান ও গণপরিবহন ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। এজন্য ধারাবাহিক কাযক্রম গ্রহন করতে হবে এবং পরিকল্পনা, নীতিমালায় অযান্ত্রিক যান ও গণপরিবহন ব্যবস্থার মান উন্নয়নের বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে।
নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বড় শহরগুলোতে এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে ছোট শহরগুলোতেও এ সমস্যা ছড়িয়ে পড়বে। কাজেই বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে গণপরিবহন সেবা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
উদযাপন কমিটির আহŸায়ক একেএম মাইনুদ্দিন বলেন, আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থা রেল ও নৌপথকে প্রাধান্য না দিয়ে শুধু সড়ককেন্দ্রিক হওয়ায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। বিশেষ করে প্রাইভেট কারের ব্যবহার বৃদ্ধিতে যানজট বেড়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করার লক্ষ্যেই বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়ি মুক্ত দিবসের আয়োজন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন