শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অনশনে বসে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে। জানা গেছে, ওই গ্রামের আকাবর আলীর ছেলে পানবর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা ও উত্তরণ পাবলিক স্কুলের শিক্ষক ২ সন্তানের জনক মো. রফিকুল ইসলাম মোছা. কামরুন্নাহার (২৯) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কামরুনাহার দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মো. কোরাজ মিয়ার কন্যা।
কামরুনাহার একজন গার্মেন্টস কর্মী। গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে কামরুনাহার। তার সাথে রফিকুল ইসলামের ছোট বোন আলেয়া (২৭) গার্মেন্টসে চাকরি করে। রফিকুল ইসলাম তার বোনের কাছে গাজীপুরে বেড়াতে এসে বোনের কামরুনাহারের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
রফিকুল ইসলামের ছোট বোন আলেয়া জানায়, গত প্রায় ৭ বছর ধরে কামরুনাহারের সাথে তার ভাই রফিকুল ইসলামের দৈহিক সম্পর্ক চলে আসছিল। কামরুনাহার ঝিনাইগাতীতে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে চকপাড়ায় মাঝে মধ্যে বেড়াতেও আসতো। কামরুনাহার রফিকুল ইসলামকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি নানাভাবে টালবাহানা শুরু করে। উপায়ান্ত না দেখে গত ১জুন তারিখ থেকে কামরুনাহার বিয়ের দাবিতে চকপাড়া গ্রামে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অনশন শুরু করে। এ ঘটনার পর থেকে রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে কামরুনাহার বাদী হয়ে গত ৮ কালজুন মঙ্গলবার ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনিনুর রহমান উকিল অনশনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ইসলাম এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল যেহেতু গাজীপুর ও ময়মনসিংহ; সেহেতু মামলা হওয়ার কথা সেখানেই। এরপরেও তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন