শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বজ্রপাত : চার মাসে ১৭৭ জনের মৃত্যু : এসএসটিএএফ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২১, ১০:৫৩ এএম

বজ্রপাতে প্রাণহাণির ঘটনা বেড়েই চলেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিদিনই আসছে মৃত্যুর খবর। ২০২১ সালে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত চার মাসে সারাদেশে বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৭ জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালাপুর, নেত্রকোণা ও চট্টগ্রামে বজ্রাঘাতে প্রাণহানি বেড়েছে। তবে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ।

সামাজিক সংগঠন ‘সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম-এসএসটিএএফ’ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে। রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসএসটিএএফ জানায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন মাসে বজ্রপাতে মারা গেছেন ১৪৯ জন পুরুষ ও ২৮ জন নারী। এদের মধ্যে শিশু ১৩ জন, কিশোর ছয়জন ও কিশোরী তিনজন। মৃত্যুর পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ ও নারী ৭ জন।
চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে হতাহতের কোনো ঘটনা না থাকলেও মার্চ মাসের শেষদিক প্রাণহানির ঘটনা শুরু হয়। চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মারা গেছেন ৬৫ জন।
সংগঠনটি জানায়, চলতি বছর বজ্রপাতের নতুন হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ। এ জেলায় চলতি বছরের মে এবং জুন মাসেই মারা গেছেন অন্তত ১৮ জন। এছাড়া চলতি বছরের চার মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জন, জামালপুরে ১৪ জন, নেত্রকোণায় ১৩ ও চট্টগ্রামে ১০ জন মারা গেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৪ মাসে শুধু কৃষিকাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতের আঘাতে প্রাণহানি হয়েছে ১২২ জনের। আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা গেছে ১৫ জন। ঘরে অবস্থানকালেও বজ্রপাতে ১০ জন মারা গেছেন। এছাড়া নৌকায় মাছ ধরার সময় ৬ জন, মাঠে গরু আনতে গিয়ে ৫ জন, মাঠে খেলার সময় ৩ জন, বাড়ির আঙিনায় বা উঠানে ৬ জন, ভ্যান/রিকশা চালানোর সময় ২ জন এবং গাড়ির ভেতরে অবস্থানের সময় ১ জনের মৃত্যু হয়।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও টেলিভিশনের স্ক্রল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এ পরিসংখ্যান করা হয়েছে বলে সংগঠনটি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে দেশে পাঁচ হাজার ৭৭২টি বজ্রপাত হয়। আর সাত বছরে মারা গেছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন