মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

টাঙ্গাইলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন, তিন দিন পর মামলায় আসামি ৩ যুবক

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২১, ৯:২৩ পিএম

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এক নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিন দিন পর মামলা হয়েছে। আজ রবিবার(১৩জুন) বেলা সাড়ে তিনটায় সখিপুর থানা-পুলিশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে মামলার এজাহারে ওই নারীর দস্তখত নেন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে করা ওই মামলায় দীনা সরকারকে (৩৩) ধর্ষণে অভিযুক্ত এবং মন্টু চন্দ্র সরকার (৩০) ও শবদুল মিয়াকে (২৮) ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের একটি গ্রামে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এক নারীকে (৪০) বাড়ি থেকে ডেকে পাশের এক বনে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনকারী তিন যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পরদিন সকালে ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রেহানা পারভীন বলেন, ‘একজন নারীর সঙ্গে খুবই অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। শুধু ধর্ষণই নয়, তাঁর মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ের ক্ষত রয়েছে। তাঁর মুখের চারটি দাঁতও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর পায়ুপথ ও গোপনাঙ্গ ছিঁড়ে যাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ধরনের অমানবিক ঘটনা এর আগে আমি কখনো দেখিনি।’ওই নারীর দেবরের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দীনা সরকার, মন্টু চন্দ্র সরকার ও শবদুল মিয়া মদ্যপ অবস্থায় তাঁদের বাড়িতে যান। এরপর ওই নারীকে ঘর থেকে ডেকে বের করে পাশের একটি বনে নিয়ে তিনজনে মিলে নির্যাতন করেন এবং দীনা সরকার ধর্ষণ করেন।সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে সাইদুল হক ভূইয়া বলেন, ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর হওয়ায় মামলাটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে অভিযানে নেমেছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগির আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন