মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের ভ্যানচালক মোতাহার দর্জি হত্যা মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে রাজৈর থানা পুলিশ। গতকাল দুপুরে পুলিশ সুপার গোলাম মস্তফা রাসেল তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, নিহত মোতাহার দর্জির সাথে আসামি এমারত ফরাজীর দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এমারত ফরাজী মোতাহার দর্জিকে হত্যার জন্য অন্য আসামিদের সাথে দুই লাখ টাকার চুক্তি করে। হত্যাকান্ডে সাত জন অংশ গ্রহণ করে। যার মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ২৩ মে রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের মৃত কালু দর্জির ছেলে ভ্যানচালক মোতাহার দর্জি বাড়ির পাশে মসজিদে নামাজ আদায় করে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় আসামিরা তাকে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে শুয়ে পড়েন। এ সময় অন্যান্য আসামিরা শরীরে আঘাত ও শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে একটি পাট ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সামলা বেগম ২৫ মে বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সাব্বির সেখ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত মজুমদারকান্দি গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিন মোল্লার ছেলে মো. ইলিয়াস মোল্লাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ইলিয়াস আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যমতে গত ৯ জুন রাতে রাজৈর থানা পুলিশ একই গ্রাম থেকে রোকন মোল্লার ছেলে আনোয়ার মোল্লা, মো. জেলেম মোল্লার ছেলে মহিদুল মোল্লা এবং বাসাবাড়ী গ্রামের মৃত আক্কাস ফরাজীর ছেলে এমরত ফরাজীকে গ্রেফতার করেন এবং পরের দিন তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি চাই লাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর হেড কোয়ার্টার মো. মনিরুজ্জামান ফকির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ) এহ্সানুর রহমান ভ‚ইয়া, রাজৈর থানার ওসি শেখ সাদী, ডিবি ওসি মো. আল মামুন, টিআই শাহ আলম মৃধা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সাব্বির সেখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন