এক প্রেমিককে ফাঁসাতে গিয়ে বিদ্যুৎ তারে স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেল অপর প্রেমিক
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : পটিয়ায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে নিহত আরমান (২০) নামের কিশোরের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পটিয়া থানা পুলিশ। নিহত আরমানের পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাবুলের মেয়ের প্রেমিক আরাফাতকে ফাঁসিয়ে মারধর করার পরিকল্পনা করতে গিয়ে মুরগির ফার্মে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায় আরমান। এ ঘটনায় নিহত আরমানের আটককৃত ২ বন্ধু মোঃ ইমরান ও মোঃ রকিব পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল বুধবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
ঘটনার প্রথম দিকে তার মৃত্যু নিয়ে নানা রহস্য ও বিভিন্ন সন্দেহ সংশয় সৃষ্টি হলেও অবশেষে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করতে পেরেছে পুলিশ। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৭ টায় কচুয়াই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আহমুদুল হকের বাড়ীর সামনে একটি খালি ভিটায় স্থানীয়রা উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের গুরুচরণ দিঘীরপাড় এলাকার খামার বাড়ীর মফিজুর রহমানের পুত্র আরমানের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে লাশটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ তদন্তে নেমে পড়ে।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি তদন্ত রেজাউল করিম জানান, প্রথম দিকে ঘটনাটিকে প্রেম ঘটিত মনে করা হলেও তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যায়। নিহত আরমানের মৃত্যুর ঘটনাটি প্রেমঘটিত বা আত্মহত্যা নয়। আরমান তার পার্শবর্তী বাবুলের মেয়েকে ভালবাসত। কিন্তু বোয়ালখালীর চরখিজিরপুর এলাকার আরাফাত নামের এক ছেলের সাথে বাবুলের মেয়ের প্রেম চলে আসছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে আরাফাত বাবুলের বাড়িতে আসার খবর পেয়ে আরমান ক্ষিপ্ত হয়। তার দুই বন্ধুকে নিয়ে রাতে আরাফাতকে ধরে মারধর করে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে। রাতে তার বন্ধু ইমরানের মুরগীর ফার্মে গিয়ে আলাপ করার এক পর্যায়ে ফার্মের পাশে প্রশ্রাব করতে গেলে বৈদ্যুতিক তারে পেঁচিয়ে আরমানের মৃত্যু হয়। এরপর তার বন্ধুরা মিলে ঘটনা গোপন রাখতে তাকে উদ্ধার করে তার লাশ ফার্মের পশ্চিম পাশে সাবেক আহমুদুল হক চেয়ারম্যানের বাড়ির খালি ভিটায় ফেলে দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন