রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নাটোরের নিহত ৪ শ্রমিকের মধ্যে ৩ জনের লাশ দেশে এসেছে : দাফন সম্পন্ন

সৌদী আরবে সোফা তৈরি কারখানায় অগ্নিকান্ড

প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : সৌদী আরবের একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে নিহত নাটোরের নলডাঙ্গার ৪ শ্রমিকের মধ্যে ৩ শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় ফকিরপাড়া কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। জানাজায় আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
নিহতদের মধ্যে নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা শ্রীপুরপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে সামিউল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম হোসেন (২০), খাজুরা জর্নাদ্দনবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার ছেলে জামাল হোসেন মোল্লা (৩৮) এবং আজাহার আলীর ছেলে অহিদুর রহমান অসীমের (৩০) লাশ দেশে এসেছে। তবে, আইনি জটিলতা ও সৌদী আরবের দূতাবাসের আউট পাস না থাকায় খাজুরার ভাটোপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে আমিনুল রহমানের (৩০) লাশ এখনও সৌদী আরবেই রয়েছে। লাশ আসার খবর শুনে এলাকার হাজার হাজার মানুষ খাজুরা গ্রামে এসে জড়ো হন। এ সময় নিহতদের স্বজন ও গ্রামবাসীর আর্তনাদে গোটা এলাকায় শোকের মাতম শুরু হয়।
নিহত অহিদুর রহমান অসীমের ভাই আব্দুর রহিম জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সৌদীর একটি বিমানে নিহত ৩ বাংলাদেশী শ্রমিকের লাশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। রাত সাড়ে ৯টায় নিহতের স্বজনেরা তাদের লাশ গ্রহণ করেন। পরে লাশবাহী একটি পিকআপে গ্রামের বাড়ি নলডাঙ্গার খাজুরা রওনা হন। বুধবার ভোর ৪টার দিকে গাড়িটি গ্রামে এসে পৌঁছে। এ সময় একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির লাশ দেখে তাদের স্ত্রী-পুত্র-স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।
খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আকতার জাহান, ওসি মোস্তফা কামাল ও খাজুরা ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান নিহতদের বাড়িতে যান এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত¦না দেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, খাজুরার ভাটোপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে আমিনুল রহমানের মৃতদেহ দেশে আনার ব্যাপারে জোর তৎপরতা চলছে। যত দ্রুত সম্ভব তার মরদেহ দেশে আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আকতার জাহান বলেন, নিহতের স্বজনদেরকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার জন্য বলেছি। নিহতদের জন্য যথাসম্ভব অনুদান দেয়ার জন্য সম্ভাব্য সব রকম তৎপরতা চালানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৌদী আরবের হারাজ বিন কাশেম মানফুহা এলাকায় একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের এ ৪ শ্রমিক নিহত হন।


 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন