কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মেসার্স আলম এন্ড কোম্পানী নামে একটি নকল জ্বালানি তেল ও নিম্নমানের বিটুমিন তৈরির অবৈধ কারখানায় র্যাবের অভিযানে আব্দুল মান্নান ও ফোরকান নামে দু’জনকে আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর সদস্যরা। পরবর্তীতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক এর ভ্রাম্যমাণ আদালতে উক্ত অপরাধের জন্য উভয়কে কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। অভিযানে আটককৃত দুইজন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার গুনবতী গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল মান্নানকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার মো. মোস্তফা এর ছেলে মো. ফোরকান মাহমুদকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর উপ-পরিচালক ও কোম্পানী অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিবের নেতৃত্বে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় অবস্থিত নকল জ্বালানি তেল ও বিটুমিন তৈরির এ কারখানা সিলগালা করা হয়। এসময় কারখানায় কর্মরত মান্নান ও ফোরকান নামে দু’জনকে আটক করেছে র্যাব।
স্থানীয় সাইফুল ইসলাম জানান, তারা এলাকার প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে এখানে জ্বালানি তেলের গুদাম ও নকল বিটুমিন তৈরি করে আসছে। এই কারখানার আসে পাশে অনেক বাড়িঘর আছে। এইগুলা ধার্য পদার্থ যদি কোন ভাবে আগুল ধরে দুই-তিন কিলোমিটার জুড়ে আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের আলম মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল হান্নান আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এ কারখানায় অবৈধ উপায়ে পোড়া মবিলকে এসিডের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে জ্বালানি তেল ও নিম্নমানের বিটুমিন তৈরি করে আসছিল।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অীফসার ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক জানান, প্রতিষ্ঠান ব্যবহৃত পুরাতন মবিল ব্লিচিং পাউডার ও সালফিউরিক এসিড দ্বারা অননুমোদিত ও অবৈধভাবে পরিশোধন করে নকল ও ভেজাল ডিজেল, মবিল উৎপাদন করে বাজারজাত করত। মবিল পরিশোধনের বর্জ্য নকল বিটুমিন হিসেবে অসাধু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রয় করত বলে জানা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন