ইরানের বহুল প্রতিক্ষীত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। ১৮ জুন শুক্রবার সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে রাত ১২টা। প্রয়োজনে ভোটদানের সময় রাত ২টা পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। পরদিন শনিবার দুপুরের আগেই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার জন্য নাম নিবন্ধন করেছিলেন ৫২৯ জন! কিন্তু সেখান থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পান ৭। শেষ সময়ে এসে আরও তিনজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তাতে কিন্তু নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার জন্য টিকে আছেন মাত্র ৪ জন। এরা হলেন- ইরানের প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রায়িসি (৬০), সাবেক সাংবাদিক ও মধ্যপন্থী নেতা আবদুল নাসের হেমাতি (৬৪), ইরানের গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক প্রধান মহসীন রেজাই (৬৬) ও রক্ষণশীল ঘরনার চিকিৎসক নেতা আমির হোসেন ঘাজিজাদ্দে হাশেমি (৫০)।
এর মধ্যে রায়িসি সমর্থন পেয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ আলী খমিনি ও রক্ষণশীল রাজনীতিকদের। পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে তিনি বেশ এগিয়েও আছেন। ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে তাকে।
ইরানে বর্তমানে মোট ভোটার ৫ কোটি ৯৩ লাখ। তার মধ্যে নারী ভোটার ২ কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার। আর পুরুষ ভোটার ২ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার। আর এবার প্রথমবারের মতো ভোট দিবেন ১৩ লাখ তরুণ। ধারনা করা হচ্ছে তরুণরাই হবেন এবারের নির্বাচনের পার্থক্য সৃষ্টিকারী।
তবে কঠোর শাসন ব্যবস্থা ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ায় এই নির্বাচন নিয়ে খুব একটা আগ্রহ নেই তরুণদের। আগ্রহী নেই বয়স্ক ভোটারদেরও। তাছাড়া বেশ কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রার্থিতা বাতিল হওয়াও এই অনাগ্রহের একটি কারণ।
সে কারণে এবারের নির্বাচনে আশঙ্কাজনক হারে কম ভোটারের উপস্থিতি হতে পারে। সবশেষ ২০১৭ সালের নির্বাচনে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার সেটারও চেয়ে বেশ কম ভোট পড়তে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে শেষ পর্যন্ত চারজন প্রার্থীর কেউ-ই যদি ৫০ শতাংশ ভোট না পান তাহলে দ্বিতীয়বার নির্বাচন হবে। সেখানে অংশ নিবেন এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুইজন।
অবশ্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সকলকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহব্বান জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কত শতাংশ ভোটার শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে যান। সূত্র : পার্সটুডে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন