রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফিন্যান্স কমিটির সভা ও সিন্ডিকেট সভা পন্ড করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও ভিসির বাসভবনে তালা ঝুলিয়েছে ‘অবৈধ’ নিয়োগপ্রাপ্তরা। গতকাল শনিবার সকালে তারা এই ভবনগুলোতে তালা লাগায়। এতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স কমিটির সভা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন ভিসি অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহার বাসভবনে দেখা করেন সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহান কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩৭ জনের ৩০ জন। তারা বর্তমান ভিসির কাছে যোগদান নিশ্চিতের দাবি জানান। যোগদান করতে না দেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না বলেও জানান। এ বিষয়ে বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থবছর শেষ হতে যাচ্ছে। সেজন্য আমরা ফাইন্যান্স কমিটির সভা ডেকেছিলাম। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা সে সভা স্থগিত করেছি। তালা লাগানোর ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে তা কয়েক দিন থেকেই আমি শুনছিলাম। সে কারণে প্রক্টরের মাধ্যমে থানায় মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছি। এছাড়াও রাজশাহীর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি অবগত রয়েছেন। প্রশাসনের সবার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জানতে চাইলে নিয়োগপ্রাপ্ত রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমন বলেন, শনিবার যদি ফাইন্যান্স কমিটির সভা হয়, তাহলে আগামী ২২ তারিখে সিন্ডিকেট সভা হবে। আমরা শুনেছি, ওই সিন্ডিকেট সভায় আমাদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে। সিন্ডিকেট ও ফাইন্যান্স কমিটির সভা যাতে না হয় সে কারণে আমরা ভবনগুলোতে তালা লাগিয়েছি।
এর আগে, গত ৬ মে ভিসি হিসেবে শেষ কার্যদিবস পালন করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। মেয়াদের শেষ দিনেই অ্যাডহকে নিয়োগ দেন ১৩৭ জনকে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, স্ত্রী ও স্বজন, ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন।
বিতর্কিত এই নিয়োগ তদন্ত করতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রেরণ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করে গত ২৩ মে এই নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন