খুলনায় ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় আবু সুফিয়ান নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে জেলার পাইকগাছা উপজেলা সদরের শাপলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ক্লিনিকের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা ও জরিমানা করেন। শিশু মো. আবু সুফিয়ান দাকোপের গড়খালী এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
শিশুটির বাবা আবদুস সালাম বলেন, কয়েকদিন ধরে ছেলের পেটে ব্যথা ছিল। তাকে নিয়ে এসেছিলাম এখানে। ডাক্তার বলেন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করতে হবে। ছেলেকে অপারেশন করার জন্য গত শুক্রবার সকালে ভর্তি করানো হয়। বিকেলে ডা. ফারুক অপারেশন করেন। অপারেশনের পরে ছেলের জ্ঞান ফেরেনি। ভোররাতেও জ্ঞান না ফেরায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাড়াহুড়া করে তারা আমাদের খুলনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তৎক্ষণিক ছেলেটি মারা যায়। তবু তারা খুলনায় পাঠানোর জন্য মৃত শিশুকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে পাইকগাছা বাজারের লোকজন বাধা দেয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ইউএনও এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ক্লিনিকে একটি শিশু মারা গেছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে যাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির পরিবারকে বলেছি কোনো অভিযোগ থাকলে জানাতে। কিন্তু তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই, এমনটা লিখিত দিয়েছে।
তবে ক্লিনিকের কোনো লাইসেন্স নেই, যে রোগী মারা গেছে, তার অপারেশন কে করেছে সেই তথ্য নেই। ওটি নোট নেই। এ কারণে ক্লিনিকটিকে সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন