রায়পুরার নিলক্ষারচরের বীরগাঁও গ্রামে ভয়াবহ টেঁটা ও বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এই টেঁটি ও বন্দুকযুদ্ধে কমবেশি ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। টেঁটা বিদ্ধ হয়েছেন অনেকে। তবে গুলিও টেঁটাবিদ্ধ লোকজনের নাম ঠিকানা কিছুই জানা যায়নি।
এলাকার লোকজন জানিয়েছে, সংঘর্ষের সাথে সাথেই পুলিশি ঝামেলা এড়ানোর জন্য গুলিবিদ্ধ ও টেঁটাবিদ্ধ লোকজনদেরকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। র্যাব-১১ -এর লোকেরা গত শনিবার লাঠিয়াল সরদার সোমেদ আলীকে আতশ আলীর বাজার থেকে গ্রেফতার করার পর থেকে সোমেদ আলীর লাঠিয়াল বাহিনী এলাকায় মহড়া দিতে শুরু করে। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও টেঁটা বল্লম নিয়ে লোকজনকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। বিকেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরে আলম শরীফ নরসিংদীর পথে সিএনজি স্টেশনে পৌঁছার সাথে সাথে সোমেদ আলীর লাঠিয়ালরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে সারারাত আটক রেখে গতকাল রোববার আমিরগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের নিকট সমর্পণ করে। ফঁড়ি পুলিশ শিক্ষক শরীফকে রায়পুরা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করলে খবর পেয়ে তার স্ত্রী তাকে সেখান থেকে আনতে যায়। কিন্তু রায়পুরা পুলিশ তাকে একটি পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে চালান দিয়ে দেয়। গতকাল দুপুরে সোমেদ আলীর লাঠিয়াল বাহিনী বীরগাঁও পশ্চিম পাা মহল্লায় মহড়া দিতে গেলে একই এলাকার বাড়ির লোকজন তাদেরকে বাধা প্রদান করে। এতে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় দুই পক্ষের গুলিবিনিময় ও ককটেল বিস্ফোরণ শুরু হলে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দেয়। এই অবস্থায় বিভিন্ন এলাকার লোকজন সমেদ আলীর লাঠিয়ালদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললে লাঠিয়ালরা পিছু হটে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন