বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

জেলা প্রশাসক কেসিসি ও আ’লীগ নেতাসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক, খুলনা থেকে : খুলনার বিএল কলেজের সম্পত্তির জবর দখলের অভিযোগে জেলা প্রশাসক, কেসিসি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার খুলনার যুগ্ম-জেলা জজের ১নং আদালতে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের অধ্যক্ষ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ৪৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলায় ১নং বিবাদী ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মফিজুর রহমান হিরু।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএল কলেজের সন্নিকটে নগরীর দৌলতপুর ট্রাফিক মোড়ের পশ্চিমপাশের ২৪৪ খতিয়ানের ২৫৮নং দাগের ১ দশমিক ৩২ একর জমি দখলে নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। জমির আনুমানিক বর্তমান মূল্য ৩০ কোটি টাকার অধিক। দীর্ঘদিন যাবত প্রভাবশালীরা কলেজের এ জমি দখল করে রয়েছে। কেউ কেউ বহুতল ভবন নির্মাণও করেছেন। জবর দখলকৃত জায়গায় নির্মাণ হয়েছে শপিং সেন্টার, ভাড়া দেয়া হয়েছে ব্যাংক, বেসরকারি বিদ্যালয়, ডাক্তারের চেম্বার, জুয়েলার্স, বেকারি, মোবাইল হ্যান্ডসেটের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে।
আইনজীবীদের সূত্র জানান, মামলার বিবাদীরা হলেন- খুলনা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), খুলনা সিটি কর্পোরেশন, নগরীর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মফিজুর রহমান হিরু, পাট ব্যবসায়ী ফরহাদ আকন্দ পম্পি, জান্নু, মান্নু, শওকত আলী, সাজেদুল ইসলাম, ড. নজরুল ইসলাম, ড. জাহানারা আলী, নাছিম জাহান, ড. জাহিদ নেওয়াজ, ড. নাসরিন জাহান, নার্গিস জাহান, কেএম মালেক, কেএম শাহরিয়ার, তারা বন্দ, মোঃ হেমায়েত, এসএম মন্টু, শাহিদা আক্তার, শীতা নাথ দে, জাহাঙ্গীর, শহীদুল, অহিদুল, নাছিমা খাতুন, শামীমা আক্তার, জাহানারা, মোঃ কামরুজ্জামান মিঠু, নীহার সুলতানা, আরিফুজ্জামান, আতিকুজ্জামান, আক্তারুজ্জামান, আমেনা খাতুন, লুৎফর রহমান মÐল, সাইদুর রহমান, মোক্তার হোসেন, জাভেদ, মিথিলা, মিজানুর রহমান সরদার, তন্ময় কুমার সিংহ, আবদুর রহমান ও সমীর কুমার সাহা।
বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গুলশান আরা বেগম বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলেজের সব বেদখল জমি দখলমুক্ত করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। আমার স্থলে অন্য কোনো অধ্যক্ষ থাকলে তিনিও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মামলা করতেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ নাজমুল আহসান বলেন, শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছুই এখনো জানতে পারিনি। আইনগত বিষয় ও অভিযোগের সুনির্দিষ্ট বিষয়াদি জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেসিসি’র ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ আনিসুর রহমান বিশ্বাস বলেন, মামলার বিষয়টি এখনো জানি না। জেনে-বুঝে দেখি কেসিসি’র বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগটা কি?
উল্লেখ্য, ১৯০২ সালে ভৈরব নদীর তীরবর্তী দৌলতপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারী বিএল কলেজ। প্রতিষ্ঠার ৬৫ বছর পর এটি সরকারিকরণ করা হয়। পদ্মার এপারের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ এ কলেজটিতে বর্তমানে ৩৩ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। উচ্চ মাধ্যমিকসহ ২১টি বিষয়ের স্নাতক ও ১৭টি বিষয়ের স্নাতকোত্তর চালু রয়েছে। কলেজটির জমির পরিমাণ ৪১ একর ৫ শতাংশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন