যৌতুকের দাবিতে লিজা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে গরম পানি দিয়ে জ্বলসে দেয়ার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ি, ননদসহ পাঁচজনকে আটক করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা নন্দলালপুর এলাকায়।
এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর মা চম্পা বেগম বাদী হয়ে গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হেসেন, শাশুড়ি খোদেজা, স্বামীর বোন রোকসানা বেগম, আফসানা, মনি বেগমকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ৯ বছর পূর্বে তার মেয়ের সাথে পাগলা নন্দলালপুর বৌবাজার এলাকার মৃত আলমাস মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে বাদীর মেয়েকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করতো তারা।
তারপরও আসামিরা বাদীর মেয়ের উপর নির্যাতন অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল ১১টার দিকে অভিযুক্তরা তার মেয়েকে মারধর করছে এমন সংবাদ লোকমুখে জানতে পেরে তিনি তার ছেলেসহ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সামনেই মেয়েকে মারধর ও চুলায় থাকা গরম পানি ছুড়ে মারে। ফলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান জ্বলসে যায়। তখন তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা বাদীর মেয়েকে ঘরের ভেতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় তার মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, গরম পানি দিয়ে জ্বলসে দেয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিত গৃহবধূর সাথে এখনো তারা কথা বলতে পারেননি। তার সাথে কথা বলতে পারলে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন