শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চাকরি শেষে জানা গেলো ডিজিএম প্রদীপ কুমার শর্মার মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২১, ৯:০৬ পিএম

৩০ বছর চাকরি করে অবসর গ্রহণের পর প্রমাণ পাওয়া গেলো মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে সোনালী ব্যাংকে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। ফলে চাকরির সময়ে বেতন-ভাতা ও ঋণ বাবদ অবৈধভাবে প্রায় দেড় কোটি টাকা গ্রহণ করায় এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রদীপ কুমার শর্মা।

মঙ্গলবার (২২ জুন) মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আরিফ সাদেক। তিনি ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭৭-ক এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি প্রদীপ কুমার শর্মা সোনালী ব্যাংকে ১৯৮৩ সালে সিনিয়র অফিসার পদে আবেদন করেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় করা আবেদনে নিজের বয়স ২৯ বছর ৪ মাস উল্লেখ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করে ২০১৪ সালের ৩০ জুন ডিজিএম হয়ে ৬০ বছর বয়সে অবসরে যান। ৩০ বছরের চাকরি জীবনে সোনালী ব্যাংক থেকে বেতন বাবদ ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৪ টাকা, উৎসব বোনাস বাবদ ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫২৩ টাকা এবং গৃহ নির্মাণ ঋণ, গাড়ি ও কম্পিউটার ঋণ বাবদ ৪৬ লাখ ১২ হাজার ৮৬৬ টাকা উত্তোলন করেন প্রদীপ কুমার। সব মিলিয়ে তিনি ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ২৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রদীপ কুমার শর্মাকে সরকারি বেতন-ভাতাসহ ভোগ করা অর্থ ফেরত দিতে হবে। দুদকের তদন্তেও প্রদীপ কুমার শর্মার মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল প্রমাণিত হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন