শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পাবনায় বন্ধ গ্যাস স্টেশন খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনায় বন্ধ গ্যাস ফিলিং স্টেশন খুলে দেয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে সিএনজিচালিত যানবাহনের মালিক-চালকরা। এসময় পাবনা ঈশ্বরদী ও রাজশাহী যাতায়াতকারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শহরের গাছপাড়া বাইপাস মোড়ে অবরোধ চলাকালে পাবনা-রাজশাহী মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পাবনা শহরে ২টি এবং ঈশ্বরদীর ৩টিসহ ৫টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন শতভাগ লোড অতিক্রম করায় সোমবার থেকে সরকারী নির্দেশে বন্ধ রয়েছে।
সিএনজিচালিত যানবাহনের মালিক ও চালকরা জানান, এবারের ঈদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী গ্যাস বিক্রি করে পাবনা শহরের দু’টি গ্যাস স্টেশনের মালিকরা। ঈদের পর পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কর্তৃপক্ষ বুধবার থেকে গ্যাস পাম্প দু’টি বন্ধ করে দেয়। ফলে গ্যাস বিক্রি বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন সিএনজি চালিত বিভিন্ন যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতিতে গ্যাস পাম্প খুলে দেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা-ঈশ্বরদী-রাজশাহী মহাসড়কের গাছপাড়া এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে সিএনজি চালিত যানবাহনের মালিক-চালক ও শ্রমিকরা। এসময় পাবনার সাথে ঈশ্বরদী ও রাজশাহীর যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পাবনা সদর থানা পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কর্তৃপক্ষের গ্যাস পাম্প স্টেশন খুলে দেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি পাবনার ম্যানেজার এএসএম আজাদ কামাল জানান, পাবনার দুটি এবং ঈশ্বরদীর ৩টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন শতভাগ লোড অতিক্রম করায় সরকারী নির্দেশে বন্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে সকল ফিলিং স্টেশন লোড অতিক্রম করবে তাদের জরিমানা করারও সরকারী নির্দেশ রয়েছে।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকেরা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, পাবনায় বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রো, কার, বাস, ট্রাক, অটোসিএনজি, লেগুনাসহ প্রচুর যানবাহন গ্যাস নির্ভর হয়ে পড়েছে। চাহিদার তুলনায় তাদের কম পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকারে কাছে লোড বাড়ানোর জন্য আবেদন করেও কোন ফল হচ্ছে না। সোমবার পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মৌখিক নির্দেশ দেয়ায় তারা ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে দেয়। ফলে গ্যাস চালিত কোন যানবাহনই গ্যাস নিতে পারেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন