ভর্তুকির সার কালো বাজারে বিক্রির সময় ৩৫০ বস্তা (১৭ টন) সার সহ ৫ জন ডিলারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানী থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রামের আয়েত আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৩৫), আদমদীঘি উপজেলার সুদিন গ্রামের মৃত শওকত আলীর ছেলে নওশাদ (৪৬), আদমদীঘি বাজার এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে এমদাদুল হক (৪৩), শালগ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে ফজলুল হক (৫৫) এবং মৃত নাসিউল হকের ছেলে এহসানুল করীম (৪৭)।
র্যাব-১২ জানায়, বগুড়া জেলায় সারের চাহিদা বেশি থাকায় এক শ্রেণীর অসাধু ডিলার বেশি মুনাফার লোভে সরকারের ভর্তুকি দেওয়া সার কালোবাজারে বিক্রয় করছে এবং আদমদীঘি হতে নন্দীগ্রামের কালোবাজারির ৩৫০ বস্তা সার পাচার হয়ে যাচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন, (জি), বি এন এর নেতৃত্বে র্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের একটি দল শুক্রবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ১২ টায় বগুড়া জেলার কাহালু থানার দুর্গাপুর -জামাদারপুকুর সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে পাচার করা ৩৫০ বস্তা সারসহ একটি ট্রাক আটক করে। এসময় ট্রাকে থাকা নন্দীগ্রাম থানার সারের ডিলার কালোবাজারির মূলহোতা রুহুল আমিনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। আটক করা ট্রাকে (বগুড়া-ট-১১-০৯২৩) টিএসপি ও এমওপির ৩৫০ বস্তা সার পাওয়া যায়।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে ১৭ টন সার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন ডিলারের নামে বরাদ্দ হয়েছিল। বরাদ্দকৃত সারগুলো নন্দীগ্রামের ডিলারের নিকট সান্তাহার বিএডিসি গোডাউন হতে উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়। তারা একে অপরের যোগসাজসে সিন্ডিকেট করে কৃষকের নিকট ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি না করে কালোবাজারে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে অবৈধভাবে বিক্রয় করে। যার ফলে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হওয়ায় কৃষক অতিরিক্ত দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন