খুলনা ব্যুরো : খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় পরিত্যক্ত দু’টি ফেরী, দু’টি পন্টুন ও দু’টি গ্যাংওয়ে নিলামের টেন্ডার কার্যক্রমে সমঝোতা করেছে ছাত্রলীগের নেতারা। গত বৃহস্পতিবার দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে মাত্র তিনটি শিডিউল জমা পড়ে। ঠিকাদার ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে টেন্ডার কার্যক্রমে সমঝোতা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান।
দিঘলিয়া উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ অহেদুজ্জামান জানান, উপজেলার নগরঘাটে অবস্থিত পরিত্যক্ত দু’টি ফেরী, দু’টি পন্টুন ও দু’টি গ্যাংওয়ে বিক্রির নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গত ২৩ আগস্ট থেকে শিডিউল বিক্রি শুরু হয়। প্রতিটি শিডিউলের মূল্য নির্ধারণ করা হয় এক হাজার টাকা এবং নিলামের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ লাখ টাকা। খুলনার এলজিইডিতে ১৮টি এবং দিঘলিয়ায় ৩২টি শিডিউল বিক্রি হয়। সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার খুলনা জেলা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা শিডিউল কেনা প্রত্যেক ব্যবসায়ীর সাথে টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে মাত্র তিনটি শিডিউল জমা পড়ে। প্রতিষ্ঠানগুলো হল- সুফিয়া এন্টারপ্রাইজ, রওশনারা এন্টারপ্রাইজ ও এমএইচ ট্রেডিং।
সুফিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, অস্ত্র দিয়ে শিডিউল জমা দিতে বাধা দেয়নি। আগ্রহী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমঝোতা করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন