বরিশাল ব্যুরো : সারা দেশে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প-এসডিপি’র আওতায় নিয়োগ পাওয়া ২৮৭ শিক্ষক প্রায় ১৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এসব শিক্ষকের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলে আছেন ২৫ জন। টানা ১৫ মাস বেতন না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষ গড়ার এসব কারিগরের অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোতে ৫ জন করে মোট ২৮৭ জন ইন্সট্রাক্টর ও জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু ২০১৫ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় ঐসব শিক্ষকের বেতন ভাতা। শিক্ষকদের দাবি, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের মৌখিক নির্দেশে তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি চাকরি স্থায়ীকরণসহ বেতন ভাতা পাওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে আবেদন জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা জানান, সরকার ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার হার শতকরা ২০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে ৬৪টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করেছে। ওই কোর্সেই এসডিপি প্রকল্পের শিক্ষকরা পাঠদান করছেন নিয়োগ পাওয়া ২৮৭ জন শিক্ষক।
ঝালকাঠি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর মোঃ ইশতিয়াক হোসেন জানান, দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস বেতন ভাতা না পেয়ে তারা নানাভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। তাদের অনেকেরই সরকারি চাকরির বয়সও শেষ হয়ে আসছে। এ অবস্থায় তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং বকেয়া বেতন ভাতা না দেয়া হলে সারাজীবন দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
এসডিপি প্রকল্পের শিক্ষক ফোরামের সভাপতি মোঃ শামসুদ্দিন বলেন, এ প্রকল্পের শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশে কারিগরি শিক্ষার মানে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তাই তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া উচিত।
বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ সেলিম মৃধা জানান, অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া ২৮৭ শিক্ষক বেতন ভাতা না পেয়েও পাঠদান করছেন। তাদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত একান্তভাবে প্রয়োজন। এসব শিক্ষকের দাবি অবশ্যই মানবিক দাবি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন