শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নানা সমস্যায় জর্জরিত

শেবাচিমের সিসিইউ এবং আইসিসিইউ

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

দক্ষিণাঞ্চলে হৃদরোগ চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট’ ও ‘ইন্টেনসিভ কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট’ দুটি দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যায় জর্জরিত। পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালটির সিসিইউ এবং আইসিসিইউ। ২০ শয্যার কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে প্রতিনিয়ত ৫০-৬০ জন রোগী চিকিৎসাধীন থাকলেও ন্যূনতম কোন চিকিৎসা সহায়ক সরঞ্জাম নেই। আইসিসি ইউনিটটিতে অনুমোদিত বেড সংখ্যা ১০টিরও কম হলেও সেখানে প্রতিনিয়ত ২০-২৫ রোগী চিকিৎসাধীন থাকছে।

২০০২ সালে মেডিসিন ওয়ার্ডের সাথে ২০ শয্যার কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট চালু করা হয়। পরবর্তিতে হাসপাতাল ভবনের পূর্ব পাশে ভিন্ন কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট ও ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট ভবন নির্মাণ করা হয়। চালু হয় ২০১২ সালে। কিন্তু সেখানে এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-নার্সসহ অন্য পদ সৃষ্টি হয়নি। একজন রেজিস্ট্রার ও ৩ জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে বিপুল সংখ্যক রোগীর সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া দুরহ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপরেও ইউনিটটি চালু রাখা হলেও সেখানে চিকিৎসা পাওয়া তো দূরের কথা সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইউনিটটির একমাত্র এনজিওগ্রাম মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে আছে গত প্রায় ৭ মাস ধরে। দুটি ইউনিটের ৮টি এয়ারকুলারই বিকল আরো প্রায় বছর খানেক আগে থেকে। হসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি ও মৌখিকভাবে তাগিদ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দুঃসহ গরমে হৃদরোগীদের অবস্থা চরমে। সাম্প্রতিককালে চিকিৎসার জন্য আসা বেশিরভাগ রোগীদেরই ঢাকায় পাঠানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট ও ইন্টেনসিভ কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটের দুরাবস্থার কথা বলতে গিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম হৃদরোগ ইউনিটের বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়গুলো স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অবহিত করার কথাও জানান তিনি। এনজিওগ্রাম মেশিন বিকল প্রশ্নেও তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার কথা জানান। হৃদরোগ ইউনিটের এয়ারকুলারগুলো স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে গণপূর্ত বিভাগের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ওই ইউনিট দুটির বাতানুকূল যন্ত্রগুলো মেরামতের দায়িত্ব এ মুহূর্তে তাদের নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্প্রতি তা মেরামত করেছে বলে তাকে অবহিত করেছে। এরপরেও কোন সমস্যার কথা জানালে তারা সে ব্যাপারে সম্ভব সবকিছু করবেন বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন