লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা নির্বাচনকে নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় কাউন্সিলর প্রার্থীসহ পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সদর আলেকজান্ডারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী শিপন মাহমুদ ও তার স্ত্রী তামান্না আক্তারকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর আহত সাহাব উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ও মো. ইউছুফকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় গত রোববার রাতে শিপনের ভাই সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাত নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর দিদরুল ইসলাম খন্দকারকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়। জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে সাত নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে শিপন মাহমুদ প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। একই ওয়ার্ড থেকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন সাবেক কাউন্সিলর দিদারুল ইসলাম খন্দকার। নির্বাচনে দিদার বিজয়ী হলেও শিপনদের সঙ্গে বিরোধ চলতে থাকে। এসব নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটে।
শিপনের ভাই মামলার বাদি সাহাব উদ্দিন জানান, নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে দিদার খন্দকারের নেতৃত্বে তার ভাই শিপনের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা শিপনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাথায় গুরুতর জখম করে। হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। অপরদিকে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে রামগতি পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিদারুল ইসলাম খন্দকার জানান, পূর্বে সংঘটিত অপ্রীতিকর একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ছেলে অন্তরের সঙ্গে শিপনদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেন।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, এ ঘটনায় শিপনের ভাই বাদি হয়ে রোববার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন