শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

করোনায় পশু বিক্রি নিয়ে খামারিদের শঙ্কা

সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রায় ৬০ হাজার ষাড় গরুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরু প্রতিপালন করে আসছে খামারিরা। এদিকে করোনার জন্য ব্যবসা বাণিজ্য মন্দা, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় গরু প্রতিপালনে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় এ অঞ্চলের খামারিরা।

শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকাতে এসব গবাদি পশু প্রতিপালন করে প্রস্তত করা হচ্ছে। তবে করোনায় পশু পরিবহন, ক্রেতা সমাগম ও দাম ঠিকমতো পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারি ও বিক্রেতারা। খামারিরা জানান, গরু লালন-পালন করতে গিয়ে বিগত বছরের চেয়ে সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। সেই অনুযায়ী গরুর দামও বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিাতির কারণে কোরবানিতে পশুর দাম বৃদ্ধি না পেলে এবং বাজারে ক্রেতা সঙ্কট থাকলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।
শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের হাটপাঁচিল গ্রামের খামারী মেম্বর আব্দুল লতিফ বলেন, কোরবানির জন্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ করে আমার খামারে ১৫টি ষাঁড় প্রস্তত করেছি। যা স্বাভাবিক বাজার থাকলে ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হওয়ার কথা। করোনার মধ্যে এসব গরু কোথায় বিক্রি করবো বা ক্রেতা পাবো কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আরেক খামারি বিপুল হোসেন বলেন, অনেক কষ্ট করে ধার-দেনা করে তিনটি ষাঁড় প্রস্তত করছি। বর্তমান সময়ে এ অঞ্চলে গো-খাদ্যের দামও বেশি। এগুলো বিক্রি করে ঠিকমতো দাম না পেলে পথে পড়ে যাব।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, শাহজাদপুর উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার খামারি রয়েছে। এরমধ্যে ৫ হাজার খামারি আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কোরবানীর জন্য গরু প্রস্তত করছে। উপজেলায় খামারিসহ প্রায় ৬০ হাজার পশু প্রস্তত করা হয়েছে। করোনা নিয়ে খামারি বা বিক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগের বিষয়টি যৌক্তিক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন