মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে থামেনি জনস্রোত। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউনকে কেন্দ্র করে বিধি উপেক্ষা করে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ঢাকা ছাড়ার হুড়োহুড়িতে বাড়ছে সংক্রমণ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনা মাথায় নিয়েই ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে নানাভাবে শিমুলিয়ায় ভিড় করছে মানুষ। অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ছোট যানবাহনে এমনকি হেঁটে হেঁটে আসছে সবাই।
যাত্রীর চাপে ফেরি থেকে গাড়ি নামাতে সমস্যা হওয়ায় সকাল থেকে পন্টুনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গণপরিবহন না থাকায় বেশি খরচ আর কষ্ট করে ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় বসে থাকছেন মানুষ। স্পিডবোট, লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়েই তারা মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের দিকে রওনা হচ্ছেন।
গতকাল সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিণবঙ্গের হাজার হাজার ঘরমুখী মানুষ ফেরিতে পারাপার হতে দেখা গেছে। ঘাট ও ঘাটে প্রবেশের সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লক্ষ্যনীয় উপস্থিতি দেখা গেছে। অন্যদিকে সকাল থেকে ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি ও ঘাট এলাকায় যানবাহনের আধিক্য দেখা গেছে। ঘাটজুড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ সারি।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে মোট ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক গাড়ি। সিরিয়াল অনুযায়ী সব গাড়ি পার করা হবে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বলেন, শিমুলিয়া মোড়ে চেকপোস্ট আছে, ঘাটের প্রবেশ মুখেও চেকপোস্ট আছে। এছাড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায় চেকপোস্ট রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ও ডাক্তারি কাগজপত্র ছাড়া যাত্রীদের ঘাটে যেতে দেয়া হচ্ছে না। পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করছে। ঘাটেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন