সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত একটি নতুন প্রজ্ঞাপনে ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাতে দেশের সকল আলেম উলামা তথা গোটা কওমি অঙ্গন আজ শঙ্কিত ও চিন্তিত। বিষয়টি নিয়ে কওমি মাদরাসার আলেম উলামার মধ্যেই চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট হবে। এতে সারাদেশের কওমি অঙ্গনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি ও জাতীয় সংহতি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা একে এম আশরাফুল হক আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশের কওমি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা উপমহাদেশের প্রাচীনতম একটি শিক্ষাব্যবস্থা। যা দেশের কোটি কোটি মুসলমানকে প্রায় পৌনে দুই শত বছর যাবত নীতি নৈতিকতা ও ধর্মীয় তথা ইসলামী জ্ঞান শিক্ষার বন্দোবস্ত করে আসছে। বৃটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলেও এই শিক্ষাব্যবস্থা চালু ছিল এবং এর স্বাভাবিকতা ও স্বকীয়তাও বজায় ছিল। এমনকি স্বাধীনতার পর থেকেও এই শিক্ষাব্যবস্থা আপন গতিতেই চলে আসছিল। তবে কোন সরকারই এই শিক্ষাব্যবস্থার রাষ্ট্রীয় কোন স্বীকৃতি দেয়নি। তারা এই শিক্ষাব্যবস্থায় কোন ধরনের পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণেরও চেষ্টা করেনি। বর্তমান সরকারও সেই অবস্থায়ই কওমি মাদরাসার সনদ স্বীকৃতির ঐতিহাসিক ঘোষণা প্রদান করেছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনটি কওমি সনদ স্বীকৃতির ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র বা কওমি সনদ স্বীকৃতি আইন ২০১৮ এর অনেক ধারার সাথে সাংঘর্ষিক ও বিরোধী। যা সরকারের আইন ও নীতিমালার সুস্পষ্ট স্ববিরোধী অবস্থান। গত ২১ জুন জারিকৃত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন করা হলে অনেক আইনি জটিলতা ও সঙ্কট তৈরি হবে। যা সরকার ও আলেম- উলামাদের জন্য বিব্রতকর। এটি বাস্তবায়ন করা হলে কওমি মাদরাসার অস্তিত্ব বিনষ্ট হবে এবং মাদরাসার কার্যক্রম সঙ্কুচিত হবে। তিনি বলেন, জারিকৃত প্রজ্ঞাপন কওমি অঙ্গন কখনো মানতেও প্রস্তুত নয়। তিনি কওমি মাদরাসা আইন ২০১৮ এর ধারার পরিপন্থী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন