শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : শ্রীপুরের বরমী বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে ডিবি পুলিশের উপর ব্যবসায়ীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানা ১৫ ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। রাতেই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ ৩ ব্যবসায়ীকে আটক করে। এদিকে বরমী বাজারে ডিবি পুলিশের হয়রানী নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা করে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা অনিদৃষ্টকালের জন্য বরমী বাজারে ধর্মঘটের ডাক দেয়। আটক ব্যবসায়ীদের ছেড়ে না দিলে শনিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের ঘোষনা দেন বাজার ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস.আই রফিকের নেতৃত্বে সাদা পোশাকধারী একদল পুলিশ বরমী বাজারের মাছবাজার এলাকায় আমির এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালায়। ব্যবসায়ীরা জানায়, পলিথিন উদ্ধারের কথা বলে দোকান মালিক আমির হোসেনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখায়। এসময় বাজার ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট এর পরিচয় জানতে চাইলে এস.আই রফিক বিষয়টি পাস কাটিয়ে যান। এসময় গোয়েন্দা পুলিশের সাথে বাজার ব্যবসায়ীদের কথা কাটাকাটি উত্তেজনায় রূপ নেয়। উত্তেজিত ব্যবসায়ীরা এস.আই রফিকসহ সঙ্গীয় কনস্টবলকে লাঞ্ছিত করে। ইটের আঘাতে কনস্টবল ইলিয়াস আহত হয়। উত্তেজিত ব্যবসায়ীরা এস.আই রফিকসহ পুলিশ দলটিকে বরমী বাজার বণিক সমিতির কার্যালয়ে প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস.আই কিবরিয়া, মোতালিব ও এএসআই আলমগীরের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ৩টি দল ও শ্রীপুর থানার এস.আই কাইসারের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। এসময় ডিবি পুলিশের উপর হামলায় জড়িত থাকায় বরমী বাজারের ব্যবসায়ী বাবুল আকন্দ, শরিফ ও বাপনদাস কে আটক করে। গ্রেফতার আতঙ্কে রাতে পুরো বরমী বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরমী বাজারে অবৈধ পলিথিন উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিল। ডিবি পুলিশের হয়রানীর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে বরমী বাজার ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বাজারের সকল দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। দুপুরে ব্যবসায়ীরা ডিবি পুলিশের হয়রানী বন্ধ এবং আটক ব্যবসায়ীদের মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন