জঙ্গি সংগঠনগুলো দেশে বিভিন্ন সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। তারা এখন কৌশল বদলে অনলাইনে নিজেদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি কারণে জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারছে না। হলি আর্টিজানে হামলার ৫ বছর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাজধানীর গুলশান-২ এ পুলিশ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন খান ও মো. রবিউল করিমের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে এসব কথা জানান র্যাবের মহাপরিচালক ও ডিএমপি কমিশনার। এ সময় তারা এ সব কথা বলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, জঙ্গি দমনে র্যাবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে জঙ্গিরা অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে র্যাবের নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি কারণে জঙ্গিরা তৎপরতা দেখাতে পারছে না।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সারা বিশ্বে জঙ্গিরা এখন অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমাদের দেশেও অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম দেখা যায়। তবে অনলাইনে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।
রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়া খ্যাত গুলশান লেক পাড়ের হলি আর্টিজান বেকারি সবসময়ই মুখর থাকতো দেশি-বিদেশিদের পদচারণায়। ২০১৬ সালের ১ জুলাই সন্ধ্যা গড়াতে কিছু বুঝে উঠার আগেই আচমকা ধ্বংসজজ্ঞ শুরু হয়। ইতিহাসের জঘন্যতম জঙ্গি হামলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং প্রায় ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি সংকটের ঘটনায় স্তম্ভিত করেছিল পুরো জাতিকে। ওই দিন রাত ৮টার পর এ জঙ্গি হামলায় তৎকালীন বনানী থানার ওসি মো. সালাহউদ্দিন খান, ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিম ও ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ নিহত হন ২২ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন