প্রতিদিন একশ’টা চুলপড়া নাকি স্বাভাবিক। কিন্তু কে আর গুনে রাখে। তবে এটা ঠিক, ‘আমার চুল পড়েছে’। এই বাক্যটা আমরা প্রতিনিয়ত শুনি। সব বয়সি নারীই বলে এ কথা। আর কথাটা মিথ্যা বা নিছক কথার বথা বলে উড়িয়েও দেয়া যায় না। কারণ প্রায় সবারই কম-বেশি চুল পড়ে। কিন্তু এই পড়াটা যদি কমের মধ্যে থাকে তাহলে ততটা বিচলিত না হলেও চলে। কারণ চুল ঝরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মাথায় নতুন চুল গজায়। ধুলো-ময়লা মাথায় জমে খুশকিসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। এতে করে চুল পড়ার পরিমাণও বাড়ে। আর যদি চুল বেশি পরিমাণে পড়ে অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি তাহলে শঙ্কিত হওয়ারই কথা। কারণ চুলবিহীন নিজের মাথা কল্পনা করতে কারোরই যে ভালো লাগে না, এ বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। কী করবেন? চলুন জেনে নেই।
চুল পড়া রোধ করতে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে, কী কারণে আপনার চুল পড়ছে। কারণটা খুঁজে বের করে আগে সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তখন আপনাআপনিই চুলপড়া বন্ধ হবে। নানা কারণেই আমাদের মাথার চুল পড়ে। যেমন চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হলে, অ্যামিনিয়া থাকলে, মানসিক স্ট্রেস টেনশনে চুলে খুশকি, বড় কোনো অসুখে ভুগলে এবং বেশি পাওয়ারের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে ইত্যাদি নানা কারণেই চুল ঝরে পড়ে। ফলে মাথায় চুল পাতলা হয়ে যায়। এর মধ্যে কোনো কারণে চুল পড়ছে বুঝে তার সমাধান করতে হবে। তবে চুল যে কারণেই পড়–ক না কেন এটা দূর করতে কিছু প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। যেমনÑ
সপ্তাহে একদিন অন্তত ডিমের কুসুমের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে নিন।
নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। এরপর তুলার প্যাড সেই তেলে ডুবিয়ে তার সাহায্যে চুলের গোড়া ম্যাসেজ করুন। ঘণ্টা দুয়েক পর শ্যাম্পু করে ফেলবেন। চুলপড়া কমবে।
আমলা, শিকাকাই, মেথি ও রিঠা গুঁড়ো টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
আমলকি ও জবাফুল নারকেল তেলে ফুটিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। শ্যাম্পুু করার আগে ওই তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করবেন।
নারকেল তেলের সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়ো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করলেও চুল পড়া কমে। মনে রাখবেন, ঘুমানোর আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে হালকাভাবে চুল আঁচড়ে নেবেন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়।
চুল পড়া রোধ করতে লাইস স্টাইল ও ডায়েটেও পরিবর্তন আনা জরুরি। অর্থাৎ ব্যালান্সড ডায়েট মেনে চলুন। সবুজ শাক-সবজি, ফল-মূল বেশি খান। বেশি করে প্রোটিনযুক্ত খাবার ও প্রচুর পানি পান করুন।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক, কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন