করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ যুক্ত করে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। এতে করে ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট একেবারেই ফাঁকা। যানবাহনের জন্য প্রতিটি ফেরিকে ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। এরমধ্যেও বিরম্বনা থেকে মুক্তি মেলেনি জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারী যাত্রী ও যানচালকদের।
সরেজমিনে গতকাল দৌলতদিয়ায় দেখা যায়, প্রতিটি ঘাটে ফেরিগুলোতে যানবাহনের আংশিক লোড হতেও লাগছে দীর্ঘ সময়। এ পরিস্থিতিতে দুপুর ১টার দিকে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাটে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় চন্দ্রমল্লিকা নামের একটি ইউটিলিটি ফেরিকে। এসময় যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে পাটুরিয়াঘাট থেকে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাটে আসে অপর ইউটিলিটি ফেরি শাপলা শালুক। কিন্তু পন্টুন ফাঁকা না পেয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা পন্টুনের পাশে ভিড়ে থাকে। চন্দ্রমল্লিকা ফেরিটি যানবাহনের লোড হওয়ার পর পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে শাপলা শালুক ফেরি ওই ঘাটে ভিড়ে। অথচ দৌলতদিয়া ১নং ফেরিঘাটটি অন্তত দুই মাস ধরে কোনো ফেরিই ভিড়ে না।
চন্দ্রমল্লিকা ফেরির যাত্রী ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্টাফ জুলফিকার আলী জানান, তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি কাজ নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে যাচ্ছেন। কিন্তু যানবাহনের লোড নিতে দীর্ঘ সময় লাগায় ফেরিতে উঠে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঘাটে সমস্যা থাকাটা একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। শাপলা শালুক ফেরিতে থাকা জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকচালক আলমগীর হোসেন জানান, ঘাটে গাড়ি নেই, তবুও বিরম্বনা রয়েই গেছে। পন্টুন ফাঁকা না পাওয়ায় প্রায় ঘণ্টা খানেক ফেরিতে অপেক্ষা করতে হলো। এদিকে দৌলতদিয়া ১নং ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পন্টুনটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত রয়েছে। এসময় ১নং ঘাটের সারেং আব্দুল বারি জানান, অন্তত দুই মাস হলো এ ঘাটে কোনো ফেরি লাগে না। কি কারণে ফেরি লাগে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়। আমি বলতে পারবো না। এ বিষয়ে কথা বলতে বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখের অফিসে গিয়ে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এরপর একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন